সাঁওতালদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম নিয়ে আরণ্যক নাট্যদল মঞ্চায়ন করছে দর্শকনন্দিত নাটক ‘রাঢ়াঙ’। আগামীকাল মে দিবসে থাকছে নাটকটি। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে দলের ৪৪তম প্রযোজনাটির মঞ্চায়ন হবে।
নাটকে দেখা যায়, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিত্যদিনের হালচালে মলিন বেশভূষা। নিরীহ মুখাবয়বে যেন রাজ্যের হাহাকার। খেয়ে না খেয়ে সভ্য সমাজের মানুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোনোভাবে বেঁচে থাকা। নিজেকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে প্রত্যেক সাঁওতাল প্রায় এক প্রকার যুদ্ধে লিপ্ত। অধিকার আদায়ে বিদ্রোহ দানা বেঁধে ওঠে প্রান্তিক সাঁওতালদের মাঝে। তবে এটা শুধু নিছক বিদ্রোহ ছিল না, অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে অধিকার আদায়ের এক গুরুত্বপূর্ণ লড়াই।
থানার দারোগা থেকে শুরু করে গ্রামের মাতব্বর, এমনকি অধিকার আদায়ে সচেষ্ট বিদ্রোহী তরুণরাও অস্তিত্ব সংকটে ভোগে। কেউ মারে, কেউ মরে, মায়ের আর্তনাদে কেঁপে উঠে আকাশ, নির্মমতার যাঁতাকলে ভারি হয় বাতাস। একই দেশ, একই সমাজে থেকেও জীবনযুদ্ধে অবহেলিত ও নিগৃহীত থাকে সাঁওতাল সমাজ। অধিকার আদায় ও ভালোভাবে বেঁচে থাকার নিরন্তন প্রচেষ্টায় এগিয়ে যায় প্রান্তিক সাঁওতালরা। অবশেষে জয় হয় মানবতার। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।
‘রাঢ়াঙ’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, জয়রাজ প্রমুখ। নাটকটি রচনা করেছেন মামুনুর রশীদ, নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া আরন্যক মে দিবসে পথ নাটক ‘মাটির মহাজন’[রচনা: অপু মেহেদী,নির্দেশনা হামিম মাহমুদ] ও থিয়েটার ‘অদৃশ্য হাত’[রচনা: খুরশীদ আলম,নির্দেশনা:রবিন বসাক]মঞ্চায়ন করবে বলে জানা গেছে। এর মঞ্চায়ন হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে,সকাল ১০টায়। পাশাপাশি থাকছে সংগীত ও আলোচনা সভাও।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ল পকল এক ড ম
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।