সূর্যবংশী সম্পর্কে কতটা জানেন: কত টাকা তার, বয়স কি আসলেই ১৪
Published: 30th, April 2025 GMT
আইপিএলের হৃৎপিণ্ডে এখন যেন একটাই ধ্বনি—সূর্যবংশী। বৈভব সূর্যবংশী।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে ৩৫ বলের এক অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি করে ছেলেটা কাঁপিয়ে দিয়েছে আইপিএল, মাতিয়েছে ভারত, তোলপাড় করে দিয়েছে ক্রিকেট–বিশ্ব।
১১ ছয় ও ৭ চারে সেঞ্চুরি করে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে নাম লেখানোর আগে থেকেই তার সম্পর্কে টুকটাক জেনেছেন অনেককে। রাজস্থান রয়্যালের হয়ে গত পরশু গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ওই সেঞ্চুরির পর তাকে ঘিরে সারা দুনিয়ার ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ তুমুল।
চলুন, একনজরে দেখা যাক এখন পর্যন্ত বৈভবের ক্রিকেট-যাত্রাটা:
বিহারের সমস্তিপুরের ছেলেবৈভবের বাড়ি বিহারের গ্রাম সমস্তিপুরে। চার বছর বয়স থেকে তার ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক। সেই আগ্রহ চোখে পড়ল বাবা সঞ্জীব সূর্যবংশীর। সঞ্জীব কৃষিকাজ করতেন। নিজেও একসময় ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। সেই স্বপ্ন সত্যি করতে না পেরে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন ছেলেকে নিয়ে। বাড়ির পেছনের অল্প একটু জায়গা পরিষ্কার করে বৈভবের খেলার জায়গা তৈরি করে দিলেন।
সেই থেকে শুরু। ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর জন্য বাবা নিজের কাজ বন্ধ করে দিলেন। সংসারের হাল ধরলেন বৈভবের দাদা। আর ওদিকে বৈভবকে নিয়ে সঞ্জীব ছুটে বেড়াতে থাকলেন সমস্তিপুর, বেগুসরাই, আরও কত দূরদূরান্তের টুর্নামেন্টে। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নিজেদের গ্রাম থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে পাটনাতেও বহুবার গিয়েছেন তাঁরা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শাবানার আজ জন্মদিন
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা। রবিবার (১৫ জুন) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সিনেমার অবিস্মরণীয় এই তারকা। তার প্রকৃত নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। কিন্তু সারা দেশের মানুষ তাকে হৃদয়ে ধারণ করে ‘শাবানা’ নামে।
মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন সুর’ (১৯৬২) সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় শাবানার। সেখান থেকে শুরু—তারপর এক দীর্ঘ পথচলা, যেখানে শাবানা হয়ে ওঠেন একের পর এক যুগান্তকারী সিনেমার মুখ। চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা সিনেমার আকাশে নিজেকে স্থায়ী নক্ষত্রে রূপান্তরিত করেন।
‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘চাঁপা ডাঙার বউ’, ‘আক্রোশ’, ‘রাঙা ভাবি’, ‘বাংলার নায়ক’—এমন অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন শাবানা। জনপ্রিয়তা ও অভিনয়গুণে অনন্য এক শিল্পী, যিনি রোমান্স থেকে শুরু করে সমাজধর্মী, দেশপ্রেম বা পারিবারিক—সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন।
আরো পড়ুন:
‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া
দর্শক বলছেন আমি যেন শুভ ভাইকে বিয়ে করি: মন্দিরা
অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাবানা। প্রযোজক হিসেবেও পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। নাট্য ও সংস্কৃতি জগৎ থেকেও অর্জন করেছেন বাচসাস, নাট্যসভা, ললিতকলা একাডেমি ও কথক একাডেমি পুরস্কার।
ব্যক্তিজীবনে ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিককে। তিন সন্তানের জননী শাবানা ১৯৯৭ সালে হঠাৎ করেই অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন। ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।
অভিনয়ে ফিরবেন কি না, সে প্রশ্ন বহুবার উঠেছে। কিন্তু শাবানা এমন এক নাম, যার অবদান আর স্মৃতিময়তা কখনো ম্লান হওয়ার নয়।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত