নারায়ণগঞ্জের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জুলাই–আগস্টে গণ–অভ্যুত্থান চলাকালে নারায়ণগঞ্জে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ বুধবার বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

প্রসিকিউটর সূত্র জানায়, আটজনের নামের তালিকায় অয়ন ওসমানের নাম রয়েছে। তবে বাকি আসামিদের নাম উল্লেখ করেনি।

পরে ট্রাইব্যুনালের ফটকে সংবাদ ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই জুলাই–আগস্টে নারায়ণগঞ্জে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাঁরা সবাই অস্ত্রধারী ছিলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জে জুলাই ও আগস্টে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, সেখানে কুখ্যাত ব্যক্তি শামীম ওসমান ও তাঁর সহযোগীরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অস্ত্রধারী সদস্য উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আগে থেকেই আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে। বাকি যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, গ্রেপ্তারের স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ম ম ওসম ন ওসম ন র পর য় ন

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে উপজেলার পুঁটিমারা ইউনিয়নের আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, চণ্ডীপুর ও বেড়ামাইল গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া এলাকার রকিব মিয়া (৬২), চড়ারহাট এলাকার এনামুল হক (৪৬) ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৫), ইসাহাক আলী (৪৫), আবদুল হক (৫০), হীরা (২৬), চণ্ডীপুর গ্রামের ফসি উদ্দিন (৪৫) ও বেড়ামাইল গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২৫)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শিয়ালের কামড়ে আহত আটজনের মধ্যে পাঁচজন গতকাল রাতেই বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) শেফালী বেগম ও আহত রকিব মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত আটটার দিকে নবাবগঞ্জের চড়ারহাট বাজার থেকে কয়েকজন পথচারী হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নয়াপাড়া গ্রামে ঢোকার সময় রাস্তায় একটি শিয়াল অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ শিয়ালটি দৌড়ে এসে পথচারীদের পায়ে ও হাঁটুর নিচে কামড় দেয়। এ সময় কেউ কেউ শিয়ালটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটির সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে শিয়ালটি পালিয়ে যায়।

শেফালী বেগম বলেন, ওই রাতেই নয়াপাড়া গ্রামে মরিয়ম বেগম নামের এক নারী বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি শিয়াল এসে তাঁর পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, বেড়ামাইল ও চণ্ডীপুর গ্রামের আটজনকে শিয়াল কামড় দেয়।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাহাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শিয়ালের কামড়ে আহত পাঁচজন রোগী হাসপাতালে আসেন। তাঁরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে গেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮