ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ অংশে মিনি পিকআপ ভ্যানের ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ মো. নয়ন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

এই দুর্ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- আজিজুল ইসলাম (৬৫) মাসুম বিল্লা (২৮),ফজলুল (৪০), সজীব (৩০), আকবর (৫০),হৃদয় (২৫) লুকেট (২৫), রুবেল (২৫), তানভীর (২৪) আমিনুল ইসলাম (২৬)। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় মহাসড়কের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের রতবদী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক নেত্রকোনার পূর্বধলা এলাকার বাসিন্দা। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের রতবদী এলাকায় দ্রুত গতির একটি মিনি পিকআপ ভ্যানের পারাপারের সময়ে উল্টো পথে আসা একটি অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয় এবং অটোতে থাকা যাত্রী ও ঘটনাস্থলের পথচারীসহ ১০ জন গুরুতর আহত হোন। পরবর্তীতে নিহত ও আহতদের স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড.

শারমিন আহমেদ তিথি জানান, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ১১ জন রোগী আনা হয়েছিল। যার মধ্যে একজন মৃত ছিল। বাকি ১০জন আহতদের মধ্যকার ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া তাদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।

অপর ৬ জনের ৪ জন হালকা চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে গেলেও দুজন আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর যারা আহত হয়েছেন তাদের কাউকে আমরা পাইনি। ঘটনার পরই পিকআপ ভ্যানের চালক পালিয়েছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ প কআপ ভ য ন র

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান

ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।

বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।

অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’

শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ