পটুয়াখালীর বাউফলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত বৃদ্ধ শাহ আলম রাঢ়ীর (৫৭) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শাহ আলম রাঢ়ী সদর ইউনিয়নের গোসিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শাহ আলম রাঢ়ীর সঙ্গে প্রতিবেশী গোবিন্দ, বিধান, রাজু ও হৃদয়ের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে শাহ আলম রাঢ়ীর মাথায় আঘাত লাগে। পরে তাকে বরিশাল ও ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সর্বশেষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.

আব্দুর রউফ বলেন, ‘‘মাথায় আঘাতের কারণে শাহ আলম রাঢ়ীর ব্রেনে জটিলতা দেখা দেয়। পরবর্তীতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’’

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মারামারি ঘটনায় গত ২৪ এপ্রিল বাউফল থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলায় পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হ আলম র ঢ় র ব উফল

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।

কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা

তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ