সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দিরাই উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রিংকু দাস এবং দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলায় মানিক মিয়া নামের আরেক কৃষক মারা যান। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বাড়ির পাশের খেতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গোলাপ মিয়া (৩০) নামের আরও এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিরাই উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। বিকেলে গ্রামের পাশের উদগল হাওরে ধান কাটছিলেন কৃষকেরা। ধান কাটায় অন্যদের সঙ্গে রিংকু দাসও (২৪) ছিলেন। তখন বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে বজ্রপাতে আহত হন রিংকু দাস। স্থানীয় কৃষকেরা তাঁকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রিংকু দাস উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বজ্রপাতে রিংকু দাসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

জামালগঞ্জ উপজেলায় হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বজ্রপাতে মানিক মিয়া (৩৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। মানিক মিয়া জামালগঞ্জ উপজলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।

আরও পড়ুনবজ্রপাতে ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু ২৮ এপ্রিল ২০২৫

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার পাকনার হাওরে সকালে ধান কাটতে যান মানিক মিয়া। দুপুরে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে হাওরে থাকা অন্য কৃষকেরা তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। জামালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে খেতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যাওয়া গোলাপ মিয়া ওই গ্রামের পাইক মিয়ার ছেলে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির সামনের খেতে বোরো ধান কাটছিলেন গোলাপ মিয়া। এ সময় সঙ্গে তাঁর বাবা, ভাইসহ পরিবারের অন্য লোকজনও ছিলেন। দুপুর দুইটার দিকে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে গোলাপ মিয়ার পাশেই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে জমির একপাশে গিয়ে পড়েন গোলাপ। সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসক গোলাপকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

শফিকুজ্জামান বলেন, বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাই তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুনবজ্রপাত কমলেও বছরে মৃত্যু দেড় শ মানুষের০৫ জুন ২০২১

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ম লগঞ জ ম হনগঞ জ পর ব র র উপজ ল য়

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনে চলাচল বন্ধ

গাজীপুরের জয়দেবপুর জংশনের অদূরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ওই রেললাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। তবে পাশের অন্য লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।

জয়দেবপুর রেলস্টেশন সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি মোহনগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। জয়দেবপুর জংশনের আগেই ট্রেনটির শেষ দিকের একটি বগি হঠাৎ রেললাইন থেকে ছিটকে যায়। ঘটনার পরপরই ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে রেলওয়ের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার ও মেরামতকাজ শুরু করে।

জয়দেবপুর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মাহমুদুল হাসান বলেন, বগিটি লাইনচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেললাইনটিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী দল ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। দ্রুতই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক কাইয়ুম আলী জানান, ট্রেনটি উদ্ধারের আগপর্যন্ত ময়মনসিংহের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রেনের বগিটি উদ্ধার করে সরিয়ে নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনে চলাচল বন্ধ
  • মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ