কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে ফোন দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান কাজা কালাস। শুক্রবার আলাদাভাবে দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় দিল্লি ও ইসলামাবাদকে তিনি ‘সংযত’ থাকার এবং উত্তেজনা কমাতে সংলাপে বসার আহ্বান জানান।

ভারত ও পাকিস্তানের দুই মন্ত্রীকে কাজা কালাস বলেন, দুই দেশের মধ্যে ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়া এই উত্তেজনা ‘উদ্বেগজনক’। পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে এগোলে কোনো দেশের জন্য তা সুফল বয়ে আনবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, ‘আমি দুই দেশকে সংযম দেখানোর জন্য এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে সংলাপে বসার অনুরোধ করছি।’

এরপর শুক্রবারেই এক্সে এক পোস্টে এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আজ সন্ধ্যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান কাজা কালাসের সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগল। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে আলোচনা করেছি। সব ধরনের সন্ত্রাস এবং এর প্রাদুর্ভাবের নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তীব্র নিন্দাকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

কাজা কালাসের মাত্র দুই দিন আগে বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এ সময় দুই পক্ষকে পেহেলগাম হামলা ঘিরে উত্তেজনা কমানোর জন্য আহ্বান জানান। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও দুই দেশকে সংযত থাকার অনুরোধ করেছেন।

আরও পড়ুনপাকিস্তানিদের জন্য ওয়াঘা সীমান্ত খোলা: ইসলামাবাদ৭ ঘণ্টা আগে

২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এতে পাকিস্তানের যোগসাজশ আছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। এ ঘটনার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। দুই দেশই একে–অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত গোলাগুলির ঘটনাও ঘটছে।

আরও পড়ুন‘যে সরকারের ভরসায় ঘুরতে গিয়েছিলাম, তারা আমাদের অনাথের মতো ফেলে গেছে’৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের খাদ্য মজুতের নির্দেশ১১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পরর ষ ট রমন ত র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ