খুবিতে ছাত্রের মারপিটে শিক্ষক আহত, তদন্ত কমিটি গঠন
Published: 3rd, May 2025 GMT
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক এক শিক্ষার্থীর হামলায় সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে বেসরকারি খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ নোমান। তিনি বাংলা ২০১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এদিকে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা আবদুল্লাহ নোমানকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় আব্দুল্লাহ নোমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সাকির ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন নোমান।
শুক্রবার রাতে গাছ থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের তর্ক-বিতর্ক হয়। এ সময় শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ নোমান শিক্ষকের শরীরে আঘাত করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বাণিজ্যমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিকেলে টিসিবি মিলনায়তনে ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আগের সরকারের আমলে ভোক্তার অধিকার ব্যাপকভাবে খর্ব হয়েছে। ভোক্তাদের এখন স্বস্তি দিতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে সিন্ডিকেট করে দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। অন্যায়ভাবে প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের আইন সংস্কার করাসহ ভোক্তা অধিকারের জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো যদি শক্তিশালী করি, সক্ষমতা বৃদ্ধি করি তাহলে দুর্বৃত্তরা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা বাজারে বৈচিত্র্য আনতে পারছি। যার ফলে আমাদের কাজ সহজ হয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ের এই প্রচেষ্টায় একটি স্বস্তি এসেছে। আমাদের ক্রয় ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি কমাতে কাজ করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৈচিত্র্য আনতে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা আরো বৈচিত্র্য আনতে চাই। আমরা সবাই মিলে ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে কাজ করব। এই কাজ করতে যদি আমাদের বাণিজ্য নীতি পরিবর্তন করতে হয় তা করবো।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “ঈদের সময়ে মসজিদ-মাদ্রাসা লবণ দিয়েছি। এটা একদম নতুন একটা সিদ্ধান্ত। এছাড়া, ঈদের যাত্রায় যাত্রী হয়রানি যেন না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোক্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ন্যায্য মূল্যে, সঠিক দামে পণ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে সবাই মিলে কাজ করব।”
আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্য দেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, ক্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামিল চৌধুরী, ক্যাবের উপদেষ্টা আনিসুল হক।
ঢাকা/হাসনাত/ইভা