ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিবিএ ২৮তম ব্যাচ, এমবিএ ৬৪তম ব্যাচ, এক্সিকিউটিভ এমবিএ ৩৭তম ব্যাচ এবং ডিবিএ প্রোগ্রামের মোট ২৪৭ জন শিক্ষার্থীর সনদ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশ একটি অসাধারণ সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের এ সময়ে আমাদের এমন নেতৃত্বের প্রয়োজন, যারা একই সঙ্গে দক্ষ ও সহানুভূতিশীল। যারা শুধু উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়, বরং জবাবদিহির সাহস রাখে। আইবিএ স্নাতক হিসেবে এ মুহূর্তে আপনাদের দায়িত্ব হলো সততার সঙ্গে দেশ ও জাতির প্রতিনিধিত্ব করা এবং একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য অর্থপূর্ণ অবদান রাখার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হওয়া।’

আরও পড়ুনইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের ওয়াইপিপি প্রোগ্রাম, আরবি অথবা ফরাসি ভাষায় দক্ষতায় বাড়তি সুযোগ৭ ঘণ্টা আগে

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও গ্র্যাজুয়েশন স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সমাজের প্রতি আপনাদের যে দায়বদ্ধতা, তা আপনারা সঠিকভাবে পালন করবেন, এ প্রত্যাশা থাকবে। পরিবর্তনের এই ক্রান্তিলগ্নে, সম্পদের ব্যাক্তি মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক। তাহলে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, যার ভিত্তি হবে মানুষের সম–অধিকার ও স্বাধীনতা।’

বিবিএ ২৮তম ব্যাচ, এমবিএ ৬৪তম ব্যাচ, এক্সিকিউটিভ এমবিএ ৩৭তম ব্যাচ এবং ডিবিএ প্রোগ্রামের মোট ২৪৭ জন শিক্ষার্থীর সনদ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমব এ আইব এ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ