বহুল প্রতীক্ষিত নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস আজ চালু হচ্ছে
Published: 3rd, May 2025 GMT
দীর্ঘ ১০ মাস পর আজ রোববার থেকে চালু হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম। এরআগে বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
রোববার থেকে পূর্বের ন্যায় জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডে পাসপোর্ট অফিসে এসে আবেদনপত্র জমা, ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে পারবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মো.
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাসপোর্ট অফিসের সেবাদান কার্যক্রম পরিদর্শনে যাবেন ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ই জুলাই রাতে এক বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দুষ্কৃতকারীরা নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিতরণের অপেক্ষায় থাকা প্রায় আট হাজার পাসপোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, পুরো অফিস ভবনটিই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং আগুন প্রায় পুরোটা দিন ধরে জ্বলতে থাকে।
এরপর নারায়ণগঞ্জের সাতটি উপজেলার (সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, বন্দর, সোনারগাঁ, ফতুল্লা ও সদর) বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির শিকার হন। পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজের জন্য তাদের পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদীতে ছুটতে হয়েছে।
এরপর ঘটনার ছয় মাস পর গণপূর্ত বিভাগ পাসপোর্ট অফিসটির সংস্কার কাজ শুরু করে শুরু করে। কাজ শেষ হওয়ার পর অফিসটি নতুন করে সাজানো হয়।
এদিকে, পাসপোর্ট অফিসের আশপাশের দোকানগুলোও নতুন করে রঙ করা হয়েছে। আবার বসানো হয়েছে কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন। দোকানিরা বলছেন, ৯ মাসের মন্দা কাটিয়ে আবার বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
অপরদিকে, দীর্ঘ ১০ মাস পর আবারও পাসপোর্ট অফিসটি পূর্ণদমে চালু হওয়ার সংবাদে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নারায়ণগঞ্জবাসী।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার এক কিশোর ১২ দিন পর মারা গেছে। নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে সে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২০ আগস্ট রাত আটটার দিকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রিপনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। প্রচণ্ড মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব গত ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনেরা তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের অন্ধকারে মাঠের মধ্যে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়।
সেসময় কিছু ব্যক্তিও পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করে। এরপর তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।
একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। এরপর লাঠি দিয়ে শিহাবকে আরো পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রেমিকার আত্মীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুত্বর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
শিহাবকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন গত ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিম (৩২) নামের নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় আগে করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/কেয়া/এস