বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ভারতীয় ক্রিকেটার
Published: 6th, May 2025 GMT
আইপিএলের মাঝপথেই নেতিবাচক খবরের শিরোনামে এলো ভারতের ক্রিকেট। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্কের অভিযোগে শিবালিক শর্মা নামের এক ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করেছে যোধপুরের কুড়ি ভগতাসনি হাউজিং বোর্ড থানার পুলিশ। ২৬ বছর বয়সী শিবালিক ভারতের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেন। আইপিএলে গত বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ছিলেন।
ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শিবালিকের বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ’-এর অভিযোগ তুলেছেন এক তরুণী। যোধপুরের কুড়ি ভগতাসনি থানায় মামলা দায়েরের পরই তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে তিনি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ২০২৩ সালে বরোদার এই ক্রিকেটারের সঙ্গে পরিচয় হয় অভিযোগকারীর। সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান শিবালিক। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে তাকে বরোদায় ডেকে পাঠান এবং সেখানকার পারিবারিক এক আলোচনায় জানানো হয়, শিবালিকের বিয়ে অন্যত্র ঠিক করা হয়েছে। এরপরই থানায় অভিযোগ জানান তরুণী।
শিবালিক শর্মা বরোদা দলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেন। বাঁ-হাতি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পার্টটাইম স্পিন বোলিংও করেন তিনি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সিকিমের বিপক্ষে ১৭ বলে ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই ক্রিকেটার।
২০২৪ আইপিএল মৌসুমে ২০ লাখ রুপিতে তাকে দলে নিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে স্কোয়াডে থাকা সত্ত্বেও মাঠে নামার সুযোগ পাননি তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফয়েজ হামিদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সামরিক আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ফয়েজ হামিদ ২০২৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএসআইয়ের প্রধান ছিলেন। ওই সময় পাকিস্তানের সরকারপ্রধান ছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান এখন কারাগারে আছেন।
ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ফয়েজ হামিদ। ইমরান খান তাঁকে আইএসআইয়ের প্রধান করেছিলেন। ২০২২ সালে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে নির্ধারিত সময়ের আগে অবসরে যান গোয়েন্দাপ্রধান ফয়েজ হামিদ।
পাকিস্তানের সামরিক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানের পর আইএসআইয়ের প্রধানকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটিতে এর আগে আইএসআইয়ের কোনো প্রধানকে কখনোই সামরিক আদালতে বিচার করা হয়নি।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে পাকিস্তানের সামরিক আইনের আওতায় বিচার কার্যক্রম চলেছে।
ফয়েজ হামিদের আইনজীবী মিয়া আলি আশফাক বলেন, বর্তমানে সেনা হেফাজতে থাকা তাঁর মক্কেল ‘এক হাজার শতাংশ’ নির্দোষ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি।
আরও পড়ুনপাকিস্তানে প্রথমবারের মতো বিচারের মুখে সাবেক আইএসআই প্রধান১২ আগস্ট ২০২৪