লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ডিবিএইচ, বেড়েছে মুনাফা
Published: 6th, May 2025 GMT
২০২৪ সালে মুনাফা বেড়েছে ডিবিএইচ ফিন্যান্সের। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ০৭ পয়সা। আগের বছর যেখানে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৪ টাকা ৯৫ পয়সা, ২০২২ সালে যা ছিল ৫ টাকা ১১ পয়সা।
ডিবিএইচ ফিন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ২০২৪ সালের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী ১৯ জুন ডিবিএইচের বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। সে জন্য রেকর্ড তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ২৭ মে। ২০২৪ সালে ডিবিএইচের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ছিল ৪৭ টাকা ২৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং নগদ প্রবাহ ছিল মাইনাস ৩৮ পয়সা। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৬৩ পয়সা। ২০২৩ সালে কোম্পানির নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ ছিল ৪৩ টাকা ১৮ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ ঋণাত্মক হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত বছর কোম্পানিটির ঋণ ও আগাম অর্থ গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাংক ও অন্যান্য গ্রাহকের আমানতের পরিমাণ কমেছে।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডিবিএইচ। সেখানে বলা হয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। এই সময় ইপিএস হয়েছে ৭৮ পয়সা, যেখানে আগের বছর ইপিএস ছিল ৮৭ পয়সা।
২০২৩ সালের জন্য ডিবিএইচ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালে মোট ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ডিবিএইচ। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ছিল নগদ লভ্যাংশ; বাকি ২ শতাংশ ছিল বোনাস লভ্যাংশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড ব এইচ
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক জহুরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৭০তম (সাধারণ) সভার ২৪ নম্বর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ৪ (১) (ই) ধারা অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ (রিমুভ্যাল ফ্রম সার্ভিস) করা হয়।
অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডাকোটায় ইনস্ট্রাকশনাল ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে এমএস ডিগ্রিতে অধ্যয়ন করছেন।
আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোনে জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০২৩ সাল থেকে শিক্ষা ছুটি নিয়ে আমি আমেরিকায় আছি। প্রতিবছর সেটা নবায়ন করি। সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনো অফিশিয়ালি কিছু পাইনি বা জানি না। তবে এ বিষয়ে শুনেছি এবং দেখেছি। এটা বেআইনি ও আক্রোশমূলক। আমাকে হেয় করতেই করা হয়েছে। দেশে গিয়ে এটার বিষয়ে মোকাবিলা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর শিক্ষা ছুটিসংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির ১৯৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে এক মাসের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি যোগদান করেননি। এ ছাড়া বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেছেন।
এ ঘটনায় তদন্তে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭তম (সাধারণ) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশে সর্বশেষ ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ৩ (এইচ) ধারা অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ৪ (১) (ই) ধারা অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।