ময়মনসিংহে এলাকাবাসীর সচেতনতায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ট্রেন
Published: 9th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এলাকাবাসীর সচেতনতায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেনের যাত্রীরা।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের শহীদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সংশ্লিষ্টরা এসে ভাঙা লাইন মেরামত করলে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাওরাইদ-মশাখালী স্টেশনের মধ্যবর্তী শহীদনগর এলাকার ৩৪৭ এর ৩/২ কিমি পয়েন্টে স্থানীয় লোকজন রেললাইনে ভাঙা দেখতে পান। এ সময় ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন মশাখালী স্টেশন অতিক্রম করে আসছিল। এ অবস্থায় লোকজন অগ্রসর হয়ে সংকেত দিয়ে ট্রেনটি থামান। এতে অল্পের জন্য ট্রেনটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্টরা গফরগাঁও থেকে গিয়ে ভাঙা রেললাইন মেরামত করলে আটকে থাকা কমিউটার ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
শহীদনগর গ্রামের আব্দুল মজিদ (৬৩) বলেন, সময় মতো সাধারণ সচেতন মানুষ যদি এগিয়ে গিয়ে সংকেত দিয়ে ট্রেন না থামাত, তাহলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
গফরগাঁও রেলওয়ের সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল শহীদ নগরে গত ৩ বা ৪ মাসে তিনবার লাইন ভেঙেছে। এই রেলপথের লাইনগুলো বহু বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন জোড়াতালি দিয়ে চলছে। তবে আমরা খুব সতর্ক থাকি যাতে বড় দুর্ঘটনা না ঘটে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিলন মিয়া (২১)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশাচালক। এর আগে গতকাল রাতেই মূল অভিযুক্ত আবুল বাশার (২৫) ও তাঁর সহযোগী মিলন মিয়াকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। তবে মামলার প্রধান আসামিকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুনহালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ১৫ ঘণ্টা আগেপুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে মিলন মিয়ার (২১) সঙ্গে সে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীটিকে বাশারের অটোরিকশায় তুলে দেন মিলন। এ সময় বাশার হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতেই আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
হালুয়াঘাট থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে। তাঁর সহযোগী মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিলন জানিয়াছেন, মেয়েটি তাঁর বন্ধু।’
এদিকে হালুয়াঘাটে গারো ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো। আজ বেলা তিনটায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।
আজ বুধবার সকালে নিজের ফেসবুকে পেজে পোস্ট দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ওই ঘটনার নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটি জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মেয়েটির মা বিএনপি পরিবারের সদস্য ও গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলেও অন্য গারো নারীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। অবশ্যই এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।