রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে নিয়োগ, ৭৬ পদের আবেদন অনলাইনে
Published: 10th, May 2025 GMT
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, রংপুরে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি ১১ পদে মোট ৭৬ জনকে নিয়োগে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোয় যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। অনলাইনে পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু হবে আগামীকাল ৮ মে।
পদের নাম ও পদসংখ্যা
১. হিসাবরক্ষক
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা
২.
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা
৩. উচ্চমান সহকারী
পদসংখ্যা: ৯
বেতন স্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা
৪. সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ২
বেতন স্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা
৫. ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ৩
বেতন স্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা
৬. ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকাআরও পড়ুনছুটির প্রজ্ঞাপন দিল সরকার, যে যে নির্দেশনা থাকছে তাতে০৭ মে ২০২৫
৭. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ৬
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা
৮. গাড়িচালক (ড্রাইভার)
পদসংখ্যা: ৪
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা
৯. সিপাই
পদসংখ্যা: ৩৪
বেতন স্কেল: ৯০০০-২১৮০০ টাকা
১০. ডেসপাচ রাইডার
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৮৮০০-২১৩১০ টাকা
১১. অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ১৪
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা
চাকরি আবেদনের বয়স
প্রার্থীর বয়স ১-৫-২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আবেদনের সুযোগ কত দিন
আগ্রহীদের জন্য আবেদনের সুযোগ ১২ জুন ২০২৫ পর্যন্ত।
আবেদনের নিয়ম
আগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন। আবেদনের বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষক–জনবল নিয়োগসহ ৪ দাবিতে ময়মনসিংহ আইএইচটি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ময়মনসিংহের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) শিক্ষক ও জনবল নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে পাঠ কার্যক্রম বন্ধ রেখে একাডেমিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি করা হয়।
নগরের মাসকান্দা এলাকায় আইএইচটির অবস্থান। কোনো জনবল নিয়োগ না হলেও বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজি বিভাগে ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি ও পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে তিনটি ব্যাচে ১৫৬ শিক্ষার্থী আছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে শুরু থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মোহাম্মদ ছাইফুল ইসলাম খান। গত ৪ মার্চ তিনি ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন হিসেবে বদলি হন। এরপর প্রশাসনিক দায়িত্বে আর কেউ নেই। তবে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষক সপ্তাহে দুই দিন করে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
ক্যাম্পাসে আছে একটি চারতলা একাডেমিক ভবন, একটি পুরুষ ও একটি নারী আবাসিক হল ও কর্মকর্তা–কর্মচারীদের আবাসন। পুরো চত্বরে ঘাস বড় হয়ে জঙ্গলময় পরিস্থিতি। একাডেমিক ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে আছে প্যাকেটবন্দী কিছু জিনিসপত্র। নিচতলার একটি কক্ষকে শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেখানে কিছু চেয়ার ও একটি টেবিল রয়েছে। এ ছাড়া পুরো ভবনে কক্ষ থাকলেও নেই আসবাব ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগভিত্তিক কোনো শিক্ষক না থাকায় ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ প্রায় ছয় মাস। ছাত্রদের জন্য ব্যবহারিক কোনো যন্ত্রপাতি ও ক্লাসে পর্যাপ্ত আসবাব, যেমন চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ নেই। হলে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো আসবাব, বিছানা, চেয়ার ও টেবিল নেই; নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী। ২৫ জুন বেলা ১১টার দিকে ৯ লাখ টাকা বকেয়ার কারণে ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। পরে অবশ্য আবার সংযোগ দেওয়া হয়। এমন অবস্থায় শিক্ষাজীবন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন।
আজ পাঠ কার্যক্রম বর্জন করে সকাল ১০টা থেকে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের চারটি দাবির মধ্যে আছে, অবিলম্বে অধ্যক্ষ ও শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে, বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন ও মানসম্মত ক্যাম্পাস করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আজ মানববন্ধনের পর স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে স্মারকলিপি ও পরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুফিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন১৫৬ শিক্ষার্থী থাকলেও নেই কোনো শিক্ষক–কর্মচারী ৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থী দেবী দেবনাথ বলেন, ‘সরকারের আছে আমাদের প্রশ্ন, যদি শিক্ষার সুব্যবস্থা না দিতে পারে, তাহলে এত টাকা খরচ করে, এত সুন্দর ভবন কেন করা হলো। ভর্তি হওয়ার সময় অনেক টাকা খরচ করে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। আমরা যদি জানতাম, এখানে এসে ক্ষতি হবে, তাহলে ভর্তি হতাম না। রাষ্ট্র কেন আমাদের এত ক্ষতি করল? আমাদের সঙ্গে একপ্রকার দুর্নীতি করা হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মিছবাহ উদদীন আহমদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকসহ অন্যান্য জনবল কাঠামো অনুমোদন ও নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান।