দেশে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা (এআই) আসার পর এটি ব্যবহার করে জালিয়াতি অনেক বেড়েছে বলে মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভিসা নিয়েও জালিয়াতি হচ্ছে। এর ফলে অনেক দেশে বাংলাদেশের নাগরিকেরা হেনস্তার স্বীকার হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে এআই ব্যবহার করে করা জালিয়াতি রোধে জরুরি ভিত্তিতে পৃথক আইন (অধ্যাদেশ) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আলাদা আইন করার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেন।

পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশে এআই আসার পর জালিয়াতি বেড়ে গেছে অনেক। এত বিস্তৃতি যে এটিকে জালিয়াতির সমুদ্র বলা যায়। এর ফলে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। জালিয়াত চক্র অনেক মানুষকে ঠকাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, তারা ভিসাও জালিয়াতি করছে। এর ফলে অনেক দেশে বাংলাদেশের নাগরিকেরা হেনস্তার স্বীকার হচ্ছেন। তাঁদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সমস্যা হচ্ছে। এই জালিয়াতি কীভাবে রোধ করা যায়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আলাদা আইন করার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রেস সচিব বলেন, আইনটি খুব জরুরি ভিত্তিতে করা হবে। যাঁরা এই জালিয়াতি করছেন, তাঁদের বিষয়ে সুস্পষ্ট শাস্তিসহ এটি রোধে যত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে রকম ব্যবস্থা করা হবে।

বৈঠকে বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশ, রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র গ্রেনাডাকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয় বৈঠকে।

বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে ধন্যবাদ প্রস্তাব পড়ে শোনান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ দুজনের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের নির্বাচনের খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে

বাংলাদেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের খবর শিরোনাম হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপর সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনামে চলে আসে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, গণতান্ত্রিক শাসন পুনরুদ্ধার, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের ক্ষতির পর অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা, নয়াদিল্লির হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে তিক্ত হয়ে পড়া বিশাল প্রতিবেশী ভারতের সাথে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা - দুর্নীতি মোকাবেলা করা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ভোটারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমস শিরোনাম করেছে, ‘২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারিতে।’

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিউবিউনের শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি।

অধিকাংশ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনাম ছিল একই। টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে শিরোনাম করেছে-‘শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ