মিস সুইজারল্যান্ড ফাইনালিস্টকে হত্যার পর মরদেহ টুকরা করেন স্বামী
Published: 11th, December 2025 GMT
সুইজারল্যান্ডের সাবেক মিস সুইজারল্যান্ড ফাইনালিস্টকে (চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত) হত্যা করে মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছিল। শুধু তা–ই নয়, মরদেহের কিছু কিছু অংশ ব্লেন্ডারে পিষে ফেলা হয়েছিল। অভিযোগ, এভাবে তাঁকে হত্যা করেছেন তাঁরই স্বামী। তদন্ত শেষে গতকাল বুধবার থমাস নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের বেসেল-ল্যান্ডশাফট অঞ্চলের সরকারি প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানায়, নিহত নারীর নাম ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচ। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৮ বছর বয়সী এ নারীকে বেসেল শহরের কাছে বিনিংগেনে নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে গতকাল জোকসিমোভিচের স্বামী ৪৩ বছর বয়সী থমাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। থমাস শ্বাস রোধ করে জোকসিমোভিচকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমের গোপনীয়তার নীতির কারণে থমাসের পুরো নাম প্রকাশ করা হয়নি।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও আদালতের নথি অনুসারে, মেশিনচালিত করাত, ছুরি এবং বাগান পরিচর্যার কাঁচি দিয়ে জোকসিমোভিচের শরীর কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছিল। তবে শুধু গর্ভাশয় আলাদা করে সরানো হয়েছিল। কিছু অংশ বড় ব্লেন্ডারে পিষে রাসায়নিক দ্রবণে গলানো হয়েছিল। এসব কাজ করার সময় মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ভিডিও দেখছিলেন থমাস।
জোকসিমোভিচকে হত্যার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে তাঁর বাবার। জামাকাপড় ধোয়ার ঘরে (লন্ড্রি রুম) কালো ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসা সোনালি চুল দেখে তিনি ভয়ংকর কিছুর আশঙ্কা করেন। তদন্ত চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে ব্লেন্ডার, দেহের কিছু অংশ, চামড়ার টুকরা ও হাড়ের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচের স্বামীর নাম হিসেবে সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে শুধু থমাস উল্লেখ করা হয়েছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হত য র হয় ছ ল তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
কুবির ভাষা-সাহিত্য পরিষদের নেতৃত্বে এমদাদ ও নাজমুল
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী সংগঠন ‘ভাষা-সাহিত্য পরিষদে’র নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন স্নাতকোত্তর ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন স্নাতক ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাছান।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান মিলকী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম এবং প্রভাষক মো. গোলাম মাহমুদ পাভেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যান্য পদে দায়িত্ব পেয়েছেন—যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবুল হোসেন, সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহমুদা খানম ঊর্মিলা, ক্রীড়া সম্পাদক মো. রকিবুল ইসলাম, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. নাঈম ইসলাম, প্রচার সম্পাদক অমি দেব এবং সহ-প্রচার সম্পাদক: মো. আনোয়ার হোসেন।
এছাড়া, বিভাগের ছয়টি শিক্ষাবর্ষ থেকে ছয়জন শ্রেণি প্রতিনিধি কার্যকরী পরিষদে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাছান বলেন, “ভাষা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আমি অত্যন্ত গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। এই দায়িত্ব আমাকে বিভাগের প্রতি আরো দায়বদ্ধ করেছে। বিভাগের সকল কর্মকাণ্ডে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করব।”
তিনি আরো বলেন, “বিভাগীয় কর্মসূচি, সাংস্কৃতিক আয়োজন, সাহিত্যচর্চা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিভাগকে আরো সুপরিচিত ও মর্যাদাপূর্ণ করতে কাজ করে যাব।”
নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, “নবগঠিত কমিটির সবাইকে নিয়ে সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করব। শিক্ষার্থীদের দাবি ও সমস্যাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করব। সহশিক্ষা কার্যক্রমে জোর দেব, যাতে শিক্ষার্থীদের মননশীলতার বিকাশ ঘটে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলা বিভাগ মানেই সৃজনশীলতা ও ভাষা–সাহিত্যচর্চার কেন্দ্র। তাই, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নতুনত্ব ও ভিন্ন আঙ্গিক আনাই আমাদের লক্ষ্য।”
কোনো পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় কমিটির সদস্যরা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা/এমদাদুল/জান্নাত