Risingbd:
2025-12-11@13:07:58 GMT

রাবিতে শুরু ৮ দিনব্যাপী বইমেলা

Published: 11th, December 2025 GMT

রাবিতে শুরু ৮ দিনব্যাপী বইমেলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনের উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের মতো শুরু হয়েছে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বইমেলা-২০২৫’। আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত আট দিনব্যাপী চলবে এ মেলা। দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থাগুলো এতে অংশ নিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ কলা ভবন প্রাঙ্গণে উপাচার্য অধ্যাপক ড.

সালেহ্ হাসান নকীব আনুষ্ঠানিকভাবে এ বইমেলার উদ্বোধন করেন।

এবারের মেলায় ৬১টি স্টলে ৫০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে। সকাল থেকেই বইপ্রেমীদের আনাগোনা শুরু হয়। কেউ মেলা ঘুরে দেখছেন, কেউ বই কিনছেন।

মেলার একটি স্টলে থাকা নীরা ইসলাম বলেন, “আমরা মূলত মামুন লাইব্রেরি থেকে এসেছি। এখানে নতুন-পুরাতন সব ধরনের বই সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। গত বছর বিক্রি ভালো হওয়ায় এবারও স্টল দিয়েছি। ১২টার দিকে মেলা শুরু হয়েছে, তাই এখনো ভিড় পুরোপুরি জমেনি। আমাদের এখানে ইংরেজি, বাংলা, উপন্যাসসহ নানা ধরনের বই পাওয়া যাচ্ছে।”

লেখক গোপাল রায় বলেন, “আমি আশা করি, সাহিত্য অনুরাগীরা অবশ্যই আসবেন এবং বই পড়বেন। সবকিছুর ঊর্ধ্বেই বই পড়া। আশা করি, ভালো পাঠক পাব। শিক্ষার্থীরা বই কিনবে, পড়বে। আমার দুটি বই ‘কার্বাইন কার্তুজ’ এবং ‘অপুস্প যতি চিহ্নের স্মৃতিকা’ এখানে পাওয়া যাচ্ছে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “প্রতিবছর সারাদেশে যে একুশে বইমেলা হয়, এ বছর রমজান ও নির্বাচনের কারণে তা এগিয়ে আনতে হয়েছে। গত বছর প্রথম বার আমরা রাবির উদ্যোগে বইমেলার আয়োজন করেছিলাম। এবার আগের তুলনায় বৃহত্তর পরিসরে মেলা আয়োজিত হয়েছে। শুরুতেই বহু স্টল বসে গেছে। আশা করি এবারের বইমেলা হবে অত্যন্ত জমজমাট।”

তিনি আরো বলেন, “বইমেলার প্রধান উদ্দেশ্য—বই কেনা ও বই পড়াকে উৎসাহিত করা। পাশাপাশি দেশের প্রতিষ্ঠিত ও নবীন লেখক, বিভিন্ন প্রকাশনীকে এক ছাদের নিচে আনা। আশা করি, এই বইমেলা রাবির বাৎসরিক ক্যালেন্ডারের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠবে এবং প্রতি বছর নিয়মিতভাবে হবে।”

ঢাকা/ফাহিম/জান্নাত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ: ফখরুল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে “বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার এক নতুন অধ্যায়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এবারকার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, “তফসিল ঘোষণা শুধু নির্বাচনসূচি নয়, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক গুরুত্বপুর্ণ মুহূর্ত। দেশের জনগণ বহু অপেক্ষার পর যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে, তার সূচনা এই তফসিল।” 

আরো পড়ুন:

সারা দেশে ‘রোড শো’ করবে বিএনপি, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ

বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

অতীতের মতো কোনোরূপ পক্ষপাত, প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি মুক্ত, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘জনগণই দেশের মালিক। তাদের রায়কে সম্মান জানানো এবং ভোটের অধিকার রক্ষা করাই বিএনপির মূল অঙ্গীকার।’’

ফখরুল আরও দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে সামনে রেখে বিএনপি মাঠে শক্তিশালীভাবে উপস্থিত থাকবে এবং গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা চাই একটি সুষ্ঠু পরিবেশ, সমান সুযোগ, পর্যাপ্ত স্বাধীনতা এবং সব দলের জন্য মাঠ সমতল রাখা হোক। জনগণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চায়।” 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, তফসিল ঘোষণার পর দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাবে।

ফখরুল আরও বলেন, ‘‘অতীতের অভিজ্ঞতা জনগণকে সতর্ক করেছে। তাই এবার তারা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন ও রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি নির্ধারক সময়। দেশের গণতন্ত্র, ভবিষ্যৎ এবং নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন রক্ষায় এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। 

ঢাকা/আলী//

সম্পর্কিত নিবন্ধ