মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া আসন্ন পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে খেজুর আমদানির ওপর থেকে শুল্ক–কর কমানো হয়েছে। এটি ৫২ দশমিক ২ শতাংশ ছিল। সেটা এখন ৪০ দশমিক ৭০ শতাংশে নেমে আসবে।

আজ বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়।

বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহারে সরকারের ৪০ কোটি টাকার মতো (বছরে) লোকসান হবে। কিন্তু এটি যেহেতু ঢাকার মানুষের যাতায়াতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে, সে জন্য ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরও এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অব্যাহতি থাকবে। এ বিষয়ে এখন সরকার নতুন করে আবারও সিদ্ধান্ত নিল।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত থাকবে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার: পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের পর তার মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে অপমান বোধ করেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তবে ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক এবং নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে।

২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলেনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর পরপর রাষ্ট্রপতির পদটি গুরুত্ব পায়। কারণ সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর তিনিই শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।

৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে হাসিনার আওয়ামী লীগ দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাওয়া উচিত। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হওয়ায় আমি আমার অবস্থান ধরে রাখছি।”

তিনি জানান, ড. ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সাথে দেখা করেননি, তার প্রেস বিভাগটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলি থেকে তার প্রতিকৃতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, “রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি ছিল, সমস্ত কনস্যুলেট, দূতাবাস এবং হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি ছিল এবং এক রাতেই হঠাৎ করে এটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মানুষের কাছে একটি ভুল বার্তা যাচ্ছে যে সম্ভবত রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হচ্ছে। আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি।”

মো. সাহাবুদ্দিন জানান, তিনি ড. ইউনূসকে প্রতিকৃতি সম্পর্কে চিঠি লিখেছিলেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ