বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের পর তার মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে অপমান বোধ করেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তবে ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক এবং নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে।

২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলেনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর পরপর রাষ্ট্রপতির পদটি গুরুত্ব পায়। কারণ সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর তিনিই শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।

৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে হাসিনার আওয়ামী লীগ দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো.

সাহাবুদ্দিন বলেন, “আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাওয়া উচিত। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হওয়ায় আমি আমার অবস্থান ধরে রাখছি।”

তিনি জানান, ড. ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সাথে দেখা করেননি, তার প্রেস বিভাগটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলি থেকে তার প্রতিকৃতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, “রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি ছিল, সমস্ত কনস্যুলেট, দূতাবাস এবং হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি ছিল এবং এক রাতেই হঠাৎ করে এটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মানুষের কাছে একটি ভুল বার্তা যাচ্ছে যে সম্ভবত রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হচ্ছে। আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি।”

মো. সাহাবুদ্দিন জানান, তিনি ড. ইউনূসকে প্রতিকৃতি সম্পর্কে চিঠি লিখেছিলেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রপত

এছাড়াও পড়ুন:

১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ একটি সুন্দর নির্বাচন দেখতে যাচ্ছে: পাটওয়ারী

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আজকে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ এবং স্বাগত জানাচ্ছি। তারা ইলেকশনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ একটি সুন্দর নির্বাচন দেখতে যাচ্ছে। 

এ সময় তিনি সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন নিয়ে সদিচ্ছা রয়েছে কিন্তু নিরপেক্ষতা এবং সক্ষমতার অভাব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।  

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জে আমাদের তিনজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ঢাকায় এনসিপির নিউজ করার জন্য একজন সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আরো অস্ত্রের ঝনঝনানি আমরা শুনতে পাচ্ছি। আমরা এই ইলেকশনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পেশিশক্তি, টাকার প্রভাব, গডফাদার যে সংস্কৃতি আমাদের অতীতে নির্বাচনে রয়েছে, সেই সংস্কৃতি কতটুকু বন্ধ করতে পারবে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপর আমাদের যথেষ্ট সন্দেহজনক অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশন দলীয় প্রভাবের বাহিরে গিয়ে কতটুকু নিরপেক্ষ হতে পারবে সে বিষয়ে আমাদের সন্দেহের জায়গা রয়েছে।’’

নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, ‘‘বর্তমান যে পরিস্থিতি রয়েছে, লটারির মাধ্যমে এএসপি, ডিসি নিয়োগ করা হচ্ছে। সেটা জাতীর সামনে সুস্পষ্ট করা হয় নাই। কাদের নিয়োগ করা হচ্ছে এটা অসচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যে করা হচ্ছে এবং সরকার গণভোটের যে প্রশ্নবোধক চিহ্নগুলো রেখেছিল, সে বিষয়ে আমরা সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। আমরা এ পর্যন্ত কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাইনি।’’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘‘আইন শৃঙ্খলায় আমরা যথেষ্ট সক্ষমতার পরিচয় দেখতে পাচ্ছি না। বর্তমান যে নির্বাচন কমিশন রয়েছে, তাদের একটি পুনর্গঠনের কথা কিন্তু আমরা বলে আসছি। তারা অনেক উদ্যোগ নিয়েছে প্রবাসী ভোটাধিকারের বিষয়ে, আমরা সেগুলোকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু তারা তাদের কর্মের পরিচয় দেখাতে হবে।’’

ঢাকা/রায়হান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ