রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৫৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার এসব মামলা করা হয়।

আজ শনিবার ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, এ সময় ৪২৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৪৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবিতে নারী কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ বাতিলের দাবি

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার(২২মে) দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘স্বরূপ ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন’ এর উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচিতে ‘নারী পুরুষ বাইনারি, এই শর্তেই দেশ গড়ি’, ‘যৌনকর্মী স্বীকৃতি দান, মায়ের জাতির অপমান’, ‘সম অধিকার নয়, চাই ন্যায্য অধিকার’, ‘নারী পুরুষ একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী’, ‘পতিতাবৃত্তি কে না বলি’, ‘সমতার নামে নারীর বিকৃতি চলবে না’, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চাই, অপসংস্কৃতি চলবে না’, ‘সে নো টু এলজিবিটিজি এজেন্ডা’ ইত্যাদি  স্লোগান সংবলিত প্লাকার্ড দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন

শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদ পাবিপ্রবি শিক্ষকের

মানববন্ধনে শাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আদিবা সালেহা বলেন, “নারী কমিশনের সদস্যরা একটি বিশেষ মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেন, যা সারা দেশের ধর্মপ্রাণ নারীদের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করেন না। এই কমিশন কোনোভাবেই বাংলাদেশের নারীদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতিচ্ছবি নয়। এছাড়া মৈত্রী যাত্রায় অংশগ্রহণকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীর মধ্যে বাংলাদেশী সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীর উপস্থিতি নেই। তারা ধর্মীয় শিষ্টাচারকে উগ্রবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যা ধর্মীয় অবমাননা।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামপ্রিয় মানুষের দেশ। ধর্মহীন মতবাদ এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণে নারী উন্নয়নের নামে যদি ইসলামবিরোধী ও সমাজবিধ্বংসী কোনো ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে দেশের লক্ষ কোটি মুসলমান এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই যদি এই প্রতিবেদন প্রত্যাহার ও কমিশন বাতিলে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন একটি গণবিরোধী অবস্থানের দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও প্রতিবেদন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে; ধর্ম, সংস্কৃতি ও জনমতকে অবজ্ঞা করে গঠিত বর্তমান কমিশন বাতিল করে ধর্মীয় ও সামাজিক বাস্তবতায় বিশ্বাসী এবং দেশের অধিকাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন এমন প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে; পতিতাবৃত্তি নির্মূলের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট নারীদের মানবিক ও হালাল উপায়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; ধর্মীয় বিধানসমূহকে সংবিধানের আলোকে রক্ষা করে নারী উন্নয়নের একটি ভারসাম্য মূলক ও সমাজবান্ধব রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।'

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ