টাঙ্গাইলে পচা-বাসি মাংস দিয়ে বিরিয়ানি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নার অভিযোগে জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) পৌরসভার কান্দাপাড়া রোডে একটি রান্নাঘরে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আরো পড়ুন:

মিষ্টিতে তেলাপোকা: হাইওয়ে সুইটসকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

৬ বাসে মিলল ৩৫ মণ জাটকা, চালকদের জরিমানা

জহিরুল ইসলাম উৎপাদিত খাবার স্থানীয় কাচ্চি খাদক, হাজী বিরিয়ানি ও হানিফ বিরিয়ানিতে সরবরাহ করতেন। এই তিনটি দোকানের মালিকও তিনি।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল বলেন, ‘‘রান্নাঘরজুড়ে নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধ বিরাজ করছিল, প্রতিদিনই বাসি খাবার নতুন করে রান্না করা হতো। যা ভোক্তার জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। খাদ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা হয় ও রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’’

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রিন্সিপাল নেটওয়ার্ক মিট: সব শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্তি ও সুস্থতার ওপর গুরুত্বারোপ অধ্যক্ষদের

বৈশ্বিকভাবে শিক্ষা খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান পিয়ারসন সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রিন্সিপাল নেটওয়ার্ক মিট ২০২৫’ আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষেরা। আলোচনায় তাঁরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান এবং স্কুলে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বৃদ্ধির মতো জরুরি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

পিয়ারসন বাংলাদেশ ও নেপালের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন লিটন ও পিয়ারসন বাংলাদেশের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার জান্নাতুল ফেরদৌস সিগমা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে দেশের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রায় ২০০ অধ্যক্ষ অংশ নেন।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান সব শিক্ষার্থীর জন্য ন্যায়সংগত মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন। এরপর পিয়ারসন স্কুল কোয়ালিফিকেশনের ডিরেক্টর ক্যাথরিন বুথ বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের ধরন এবং তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে পিয়ারসনের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি পিয়ারসন এডেক্সেলের বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ এবং আপডেট নিয়েও কথা বলেন।

এ সম্মেলনে মূলত দুটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়। প্রথমে ‘স্পটলাইট অন ইনক্লুশন: সাপোর্টিং লার্নারস উইথ স্পেশাল নিডস’ সেশনে শিক্ষকদের জন্য সহজ ও কার্যকর পদ্ধতিসমূহ আলোচনা করা হয়, যেন তারা শ্রেণিকক্ষে যেকোনো শিক্ষার্থীকে সমানভাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারেন। এ সেশনে স্যার জন উইলসন স্কুলের অধ্যক্ষ সাবরিনা শাহীদ উল্লেখ করেন, কীভাবে তাঁরা তাঁদের স্কুলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়তা করছেন।

এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘স্টুডেন্ট ওয়েলবিইং অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ ইন দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি স্কুল’ প্যানেল আলোচনা। এতে বিভিন্ন স্কুলের প্রধানরা একত্র হয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এ আলোচনায় স্কুলের দৈনন্দিন কার্যক্রমে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয়।

আলোচকেরা মনে করেন, প্রতিটি শিশুই তার শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছ থেকে পূর্ণ সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখে। এ ক্ষেত্রে সব শিক্ষার্থীর সমান অন্তর্ভুক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মনোযোগ শুধু যে শিক্ষাকে উন্নত করে তা-ই নয়, পাশাপাশি একটি সহানুভূতিশীল প্রজন্ম গড়ে তোলে, যারা মানুষের শারীরিক কিংবা মানসিক ভিন্নতাকে সম্মান করতে পারে।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল আউটস্ট্যান্ডিং পিয়ারসন স্কুল অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫। এ সময় ৩৬টি স্কুলকে একাডেমিক সাফল্যের জন্য পিয়ারসন স্কুল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ