চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তরুণ দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর স্কুল মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর পশ্চিম পাড়ার এনামুল হকের ছেলে সেলিম হোসেন (২২) ও একই এলাকার তারিক হোসেনের ছেলে তানজিল হোসেন (২৩)। তাঁদের মধ্যে সেলিম ঘটনাস্থলে এবং তানজিল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ সোমবার দুপুরে সেলিম ও তাঁর বন্ধু তানজিল একটি মোটরসাইকেলে করে লোকনাথপুর থেকে কাদিপুরের দিকে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে কাদিপুর স্কুল মোড়ে পৌঁছানোর পর হঠাৎ মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি গাছে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সেলিমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তানজিলকে স্থানীয় ব্যক্তিরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানজিলও মারা যান।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুননতুন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে নিহত দুই বন্ধু, আরেকজন গুরুতর আহত০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে দুই শিশুর মারামারিকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষ, আহত ১৫

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় নদীতে গোসলের সময় দুই শিশুর মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সময়ে পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ায় চলা এ হামলায় ১৮টি বসতঘর ও ৫টি দোকানঘর ভাঙচুর হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৬ নভেম্বর উপজেলার পরমেশ্বরদী পশ্চিমপাড়ার রাকিব শেখের ছেলে রাজ (৭) ও হারুন শেখের ছেলে রহমতের (১০) মধ্যে নদীতে গোসল করা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মীমাংসার জন্য ২২ নভেম্বর রাতে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক হয়। তবে ওই সালিসে সন্তুষ্ট হতে পারেননি হারুন শেখ।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার দাবি, এ ঘটনার পেছনে রয়েছে স্থানীয় আধিপত্যের বিরোধ। রাকিব শেখ ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান মোল্লার সমর্থক। অন্যদিকে হারুন শেখ বিএনপির সমর্থক মাসুদুর রহমানের অনুসারী। আজ সকাল ৭টার দিকে হারুন শেখ ও মাসুদুর রহমানের অনুসারীরা একতরফা হামলা চালান। এতে পাশের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খারদিয়া গ্রামের লোকজনও অংশ নেন। তাঁরা দেশীয় অস্ত্র রামদা ও ঢাল-সড়কি ব্যবহার করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালান।  

হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে পরমেশ্বরদী, দুর্গাপুর ও তেলজুড়ী গ্রামে মাইকিং করে প্রতিরোধের আহ্বান জানানো হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় দেশীয় অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করা হয়। আহতদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত আজাদ শেখ অভিযোগ করেন, ‘ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই দেখি পরমেশ্বরদী গ্রামের মাসুদুর, ফয়সাল ও মকসেদের খারদিয়া গ্রামের কয়েক শ লোকজন ঢাল-সড়কি দিয়ে হামলা চালাচ্ছেন। তাঁরা ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণালংকার ও দুটি গাভি নিয়ে গেছেন।’

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুল আলম জানান, ওই ঘটনায় আহত হয়ে ১৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজম খান বলেন, বাড়িঘর কোপানো হয়েছে। তবে লুটপাটের বিষয়টি কেউ সরাসরি বলেননি। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ