গোপালগঞ্জে বিশেষ অভিযানকালে গভীর রাতে ব্যক্তিগত গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসময় গাড়িসহ শহরের কেরামত প্লাজার মালিক রফিকুল ইসলাম মিনা (৩৫) ও তার গাড়িচালক সাজ্জাদ (৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (১১ মে) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে শহরের গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম মিনা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজরা সিকিপাড়া গ্রামের কেরামত আলী মিনার ছেলে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) ড.

মো. রুহুল আমিন সরকার জানান, রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নেয় পুলিশ। এসময় গাড়িটি দেখে সন্দেহজনক মনে হলে তল্লাশি করা হলে গাড়ির ভেতর ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। এসময় রফিকুল ইসলাম মিনা ও তার গাড়িচালক সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।” 

ঢাকা/বাদল/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিক তুহিন হত্যা: আরো একজন গ্রেপ্তার

গাজীপুর মহানগরীর চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় শহিদুল ইসলাম নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ নিয়ে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা দাঁড়ালো আটজনে। 

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা সদরের পুরানবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৪।  

গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মৃত আবদুল করিমের ছেলে।

আরো পড়ুন:

সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে ববিতে মানববন্ধন

সাংবাদিক তুহিন হত্যা: ৭ আসামি দুই দিনের রিমান্ডে

রবিবার (১০ আগস্ট) গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ওসি শাহিন খান বলেন, সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৪। আসামিকে বাসন থানায় হস্তান্তর করেন তারা। আদালতের মাধ্যমে তাকে আজ কারাগারে পাঠানো হবে। 

গত শনিবার গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, বাদশা নামে এক ব্যক্তি ব্যাংক থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে ফিরছিলেন। এসময় আসামি গোলাপী তাকে হানিট্রাপে ফেলার চেষ্টা করেন। এটি যখন বাদশা বুঝতে পারেন তখন তার থেকে ছুটতে চান এবং কিল-ঘুষি মারেন। এসময় আগে থেকে ওৎপেতে থাকা অন্য আসামিরা এসে বাদশাকে কোপাতে শুরু করে। 

এসময় বাদশা প্রাণ বাজাতে দৌঁড়াতে থাকেন। এটি সাংবাদিক তার পেশাগত কারনেই ভিডিও করেন। আসামিরা সাংবাদিক তুহিনকে ভিডিও ডিলেট করতে বলে কিন্তু তিনি রাজি হননি। একপর্যায়ে আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। 

নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের ভিডিও ধারণ করায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিবচরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির ওপর হামলা, আহত ২৫
  • সাংবাদিক তুহিনের মোবাইল ফোন খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ 
  • সাংবাদিক তুহিন হত্যা: আরো একজন গ্রেপ্তার
  •  রূপগঞ্জে সড়কে ডাকাতির চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার ২