গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হন। তাদের মধ্যে হযরত আলী (৬৫) নামে এক কৃষকের বাম হাতের কব্জি দায়ের কোপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের তাঁতি সুতা (দক্ষিণ পাড়া) গ্রামের শেখবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুদেব চক্রবর্তী বলেন, “হযরত আলী নামে এক বৃদ্ধ বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ পাঠানো হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

দুই মাথা নিয়ে জন্মানো শিশুর ২ ঘণ্টা পর মৃত্যু

রাজশাহীতে ডিপ্লোমা-বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১০

কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া কৃষক হযরত আলী একই গ্রামের মৃত হাবিজ উদ্দিনের ছেলে। তাকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত অন্য তিনজন হলেন- মৃত রাম দুলাল বিশ্বাসের ছেলে ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস (৫২), তার বড় ভাই অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাস (৬২) এবং অমূল্যের মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী সঙ্গীতা বিশ্বাস (১৭)। তাদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত হযরত আলীর ভাতিজা শাকিল আহমেদ সবুজ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগের একটি জমি হযরত আলী ভোগ দখল করছেন। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান। আজ মঙ্গলবার সকালে জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাস ও তার ভাই পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস বাধা দেন। একপর্যায়ে অমৃত চন্দ্র বিশ্বাসের দায়ের কোপে হযরত আলীর বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।”

অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাসের বড় ভাই প্রফুল্ল চন্দ্র বিশ্বাস দাবি করেন, হযরত আলী ও তার স্বজনরা প্রথমে তাদের ওপর হামলা চালান। তিনি বলেন, “হযরত আলীর লোকজন তার হাত কেটে আমাদের বিরুদ্ধে দোষ চাপাচ্ছে।”

শ্রীপুর রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আলাল উদ্দীন বলেন, “ঘটনাস্থলের জমি বন বিভাগের। এটি নিয়ে আগে থেকেই মামলা চলমান। বন বিভাগ গত বছর সেখানে চারা রোপণ করেছে, চলতি বছরেও করবে। জমিটি বন বিভাগের অধিভুক্ত।”

শ্রীপুর থানার ওসি (অপারেশন) নয়ন কর জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেছেন। সার্কেল এএসপিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত বন ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিলন মিয়া (২১)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশাচালক। এর আগে গতকাল রাতেই মূল অভিযুক্ত আবুল বাশার (২৫) ও তাঁর সহযোগী মিলন মিয়াকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। তবে মামলার প্রধান আসামিকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।

আরও পড়ুনহালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ১৫ ঘণ্টা আগে

পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে মিলন মিয়ার (২১) সঙ্গে সে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীটিকে বাশারের অটোরিকশায় তুলে দেন মিলন। এ সময় বাশার হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।

খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতেই আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

হালুয়াঘাট থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে। তাঁর সহযোগী মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিলন জানিয়াছেন, মেয়েটি তাঁর বন্ধু।’

এদিকে হালুয়াঘাটে গারো ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো। আজ বেলা তিনটায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।

আজ বুধবার সকালে নিজের ফেসবুকে পেজে পোস্ট দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ওই ঘটনার নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটি জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মেয়েটির মা বিএনপি পরিবারের সদস্য ও গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলেও অন্য গারো নারীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। অবশ্যই এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে তিন দশকের পঞ্চদুর্গাপূজা
  • ময়মনসিংহে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ২
  • এ বছর ডেঙ্গুতে ২০০ জনের মৃত্যু
  • ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার
  • ‘আল্লাহ তুই দেহিস’: জোর করে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় এক আসামি গ্রেপ্তার