‘ম্যাডাম ফুলি’ সিমলা পেয়েছিলেন পুরস্কার, কণ্ঠ ছিল মিমির
Published: 16th, May 2025 GMT
‘পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ’, এমন ব্যতিক্রমী স্লোগান নিয়ে ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে নতুন সিনেমা ‘উৎসব’। তানিম নূরের পরিচালনায় এই সিনেমায় কাজ করেছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা একঝাঁক অভিনয়শিল্পী। এর গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফসানা মিমি। সম্প্রতি ‘উৎসব’–এর নাম ঘোষণা ও শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। সেখানেই জীবনের অজানা অনেক কথা ভাগ করে নিয়েছেন মিমি। জানান, কমার্শিয়াল সিনেমায় অভিনয় না করলেও নেপথ্যে ছিলেন—শাবনাজ, পপি, সিমলা, ঋতুপর্ণাসহ অনেকের ডাবিং করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনজাহিদ-অপি-জয়া-চঞ্চলদের ‘উৎসব’ পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ১৪ মে ২০২৫আফসানা মিমি সংবাদমাধ্যমকে জানান, জীবনে অনেক বাণিজ্যিক সিনেমার প্রস্তাব পেলেও শুধু আজিজুর রহমানের ‘দিল’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। সিনেমাটির পর আরও অনেক কমার্শিয়াল সিনেমার প্রস্তাব পেতে থাকেন তিনি। সেই সময়ে মোহাম্মদ হোসেনের পরিচালনায় ‘জনম জনম’ সিনেমায় শাবনাজের ডাবিংয়ের প্রস্তাব পান তিনি। এই থেকে শুরু, শাবনাজের বেশির ভাগ সিনেমায় কণ্ঠ ব্যবহার হয় আফসানা মিমির।
মিমির কথায়, ‘নিজের কণ্ঠ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না আমি। বলা যায়, হোসেন ভাইয়ের উৎসাহে ডাবিং করি। কিন্তু দেখলাম, শাবনাজের চেহারা আর অভিনয়ের সঙ্গে আমার কণ্ঠ যেন মিলে যায়। এরপর দেখা যায়, একটা লম্বা সময় শাবনাজের কত সিনেমায় যে ডাবিং করেছি, তার হিসাব নেই। তবে এর মাধ্যমে আমি অনেক সমৃদ্ধ হয়েছি। কারণ, পুরো ইন্ডাস্ট্রির অনেক বাঘা বাঘা অভিনেতা ও পরিচালকের সঙ্গে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। যেমন একজনের কথা এখন বলতে ভীষণ ইচ্ছা করছে—রোজী সামাদ, ওনার মতো একজন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আমি যখন ডাবিং করছিলাম, তখন আমার মনে হচ্ছিল, “ও উনাকে আমি এইভাবে সিনেমায় দেখে বড় হয়েছি।” এ রকম অনেক অনেক মানুষ।’
আফসানা মিমি আরও বলেন, ‘শহিদুল ইসলাম খোকন, উনি তো অনেক নতুন নায়িকাকে নিয়ে কাজ করতেন। ওদের ডাবিং আমার করতে হতো। বা কলকাতা থেকে যখন কেউ আসত, ইন্দ্রানী হালদার বা ঋতুপর্ণাদেরটা করে দিতাম, পপির শুরুর দিকে সিনেমায়ও করেছি।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ম আটকাতে পারল না, রেড কার্পেটে জ্বলে উঠলেন হ্যালি বেরি
এবারের কানে চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় ‘Mission: Impossible — The Final Reckoning’-এর প্রিমিয়ারে অভিনেত্রী হ্যালি বেরি নতুন নিয়মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নজর কাড়লেন অনন্য এক স্টাইলে। শুরু থেকেই উৎসব কর্তৃপক্ষ এবার বেশ কিছু কড়াকড়ি নিয়ম চালু করেছে। যেমন অতিরিক্ত লম্বা ট্রেনযুক্ত গাউন বা অতিরিক্ত খোলামেলা পোশাক নিষিদ্ধ। ফলে বেরিকে শেষ মুহূর্তে তার পোশাক পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে।
এই নতুন পরিস্থিতিতে বেরি বেছে নেন ডিজাইনার Celia Kritharioti-এর তৈরি একটি কাঠামোগত হাই-লো কাটের গাউন। এর উপরের অংশ ছিল কালো রঙের, স্ট্র্যাপলেস ও সুগঠিত, আর নিচের অংশে ছিল একটি পিঙ্ক জিঞ্জার প্রিন্টের ভলিউমিনাস স্কার্ট, যা ছিল গোড়ালির খানিক ওপর পর্যন্ত।
জুতোগুলি ছিল কালো রঙের, পয়েন্টেড টো এবং উঁচু স্টিলেটো হিলে তৈরি। বিশেষ আকর্ষণ ছিল তার মুক্তার মতো চকচকে ডিজাইনের অ্যাঙ্কল স্ট্র্যাপ, যা তার লুকের মাঝে এনে দিয়েছে চমকপ্রদ ছোঁয়া। সাধারণত কান উৎসবের লম্বা গাউনের নিচে জুতো লুকিয়ে থাকে, কিন্তু বেরি এবার ব্যতিক্রমীভাবে জুতোকেই দারুণভাবে প্রদর্শন করলেন।
ছিল পরিমিত গহনা। শুধু একটি ঝলমলে ওপাল রঙের স্টেটমেন্ট নেকলেস। মেকআপ ছিল উষ্ণ টোনে। ব্রোঞ্জ আইশ্যাডো, সফট ম্যাট লিপস্টিক এবং হালকা কনট্যুরড গাল। চুল ছিল হালকা কোঁকড়ানো প্লে-ফুল বব কাটে, যা পুরো লুককে করে তোলে আরও তরতাজা ও আধুনিক।
গত ১৩ মে দক্ষিণ ফ্রান্সের কান শহরের পালে দে ফেস্টিভ্যালে শুরু হয়েছে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। এই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক লালগালিচা পর্ব। এই পর্বে বিশ্বের খ্যাতিনামা অভিনেত্রী, গায়িকা ও মডেলরা বাহারি পোশাকে হাঁটেন। এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ২২টি চলচ্চিত্র। এছাড়া ‘আঁ সার্তে রিগা’, ‘আউট অব কম্পিটিশন’, ‘মিডনাইট স্ক্রিনিংস’, ‘কান প্রিমিয়ার’ এবং ‘স্পেশাল স্ক্রিনিংস’-প্রতিটি বিভাগেই দেখা যাবে নানা ঘরানার, নানা দেশের চলচ্চিত্র।