বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে হবে: জোনায়েদ সাকি
Published: 16th, May 2025 GMT
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, মবতন্ত্রের মাধ্যমে যে হামলা হচ্ছে, তা বন্ধ করুন। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করে বাংলাদেশকে একটা যথাযথ উত্তরণের দায়িত্ব পালন করুন। জনগণের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়- এরকম কোনো তৎপরতা চালিয়ে নিজেদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবেন না।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে ‘ভারতের নদী আগ্রাসন প্রতিরোধ করুন, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হোন’ শীর্ষক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশকে গড়তে হলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত যথার্থভাবেই গণমানুষের জন্য হতে হবে। বর্তমান সংকটগুলোতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হলো- সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তা সমাধান করা। একটা পক্ষের আন্দোলন ন্যায্য; আরেকটা পক্ষের অন্যায্য- এরকম দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে না।
মওলানা ভাসানীর পররাষ্ট্রনীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আরও বলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে কিংবা নদী ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষার আন্দোলনের সুউচ্চ প্রতীক হচ্ছেন মওলানা ভাসানী। আজকে ৫০তম বার্ষিকীতে আমাদের আবারও ভাসানীর কাছে ফিরতে হবে। কেননা ভারত-রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি যে অন্যায্য পররাষ্ট্রনীতি ও অবস্থান অব্যাহত রাখছে- সেগুলোকে প্রতিহত করতে মওলানা ভাসানীর দেখানো পথ অনুসরণযোগ্য। ভাসানী বলতেন, নদীর পানি কেবল মানুষের জন্য নয়, এতে সকল প্রাণী ও প্রাণের হক জড়িত।
বর্তমানে ৫৪টি অভিন্ন নদীতে ভারত বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের প্রকৃতির ওপর যে মরুকরণ চাপিয়ে দিয়েছে; বছরের পর বছর ধরে তা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠেকাতে হবে এবং ভারত রাষ্ট্রের দাপটকে আমাদের ভেঙে ফেলতে হবে। কাজেই বিপুল আন্দোলন সংগ্রাম তথা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তথাকথিত লোকদেখানো ভারত বিরোধিতা দিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে না। ভারতের সঙ্গে যৌথ জায়গাগুলোর মীমাংসা করতে হলে দ্বিপক্ষীয়ভাবে যদি সমাধা না হয় তবে আন্তর্জাতিকভাবে তুলতে হবে, যোগ করেন জোনায়েদ সাকি।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শক্তির চক্রান্ত মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য দরকার জনগণের বৃহত্তর ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করা। চট্টগ্রাম বন্দরসহ যেকোনো আন্তর্জাতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক কুমার রায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, সদস্য সচিব মাহবুব রতন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলীফ দেওয়ান, সদস্য সচিব সেলিমুজ্জামান, বাঞ্চারামপুর উপজেলার সংগঠক শামিম শিবলীসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র র জন য সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে চার রায়ান, এমন খেলোয়াড় বদল আগে দেখেছে কি ফুটবল
ঘটনাটি গত শনিবারের। ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে লড়াই করছিল সাউদাম্পটন ও রেক্সহাম। প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমে যাওয়া সাউদাম্পটন ও লিগ ওয়ান থেকে উঠে আসা রেক্সহামের ম্যাচটির বয়স যখন ৭২ মিনিট, দুই দলই দুজন করে খেলোয়াড় বদলি করার সিদ্ধান্ত নিল। একসঙ্গে এত খেলোয়াড় বদল করাটা নতুন কিছু নয়। তবে সাউদাম্পটন ও রেক্সহাম যাঁদের অদলবদল করল, তাঁদের নামগুলোই ওই সময়কে একটু আলাদা করেছে। অদলবদল হওয়া আট খেলোয়াড়ের চারজনের নামের প্রথম অংশই যে ছিল ‘রায়ান’! চতুর্থ রেফারির কাছের সাইডলাইন তখন পুরোপুরিই রায়ানময়।
সবার আগে আসে রায়ান ম্যানিংয়ের নাম। মিডফিল্ডার ওয়েলিংটনকে উঠিয়ে এই ডিফেন্ডারকে মাঠে নামায় সাউদাম্পটন। রায়ান নামের কারও নাম আসেনি ওই সাউদাম্পটনের দ্বিতীয় বদলিতে। মিডফিল্ডার ফ্লিন ডাউনসের বদলে নামেন স্ট্রাইকার ক্যামেরন আর্চার।
তৃতীয় বদলটি করে রেক্সহাম। স্ট্রাইকার জশ উইন্ডাসকে উঠিয়ে আরেক স্ট্রাইকার রায়ান হার্ডিকে নামায় তারা। সর্বশেষ অদলবদলের দুই খেলোয়াড়ের নামই ছিল রায়ান, দুজনই রেক্সহামের মিডফিল্ডার। রায়ান বারনেটের বদলে নামেন রায়ান লংম্যান।
রায়ানদের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে সাউদাম্পন।
আরও পড়ুনরোবটদের গেমসে রোবটের মার্চপাস্ট, রোবটের ফুটবল, রোবটের দৌড়...৮ ঘণ্টা আগে