বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী কঙ্কনা সেন শর্মা। ভালোবেসে অভিনেতা রণবীর শোরের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন। এ সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। পাঁচ বছর আগে ভেঙে যায় তাদের সংসার। বিবাহবিচ্ছেদ, ডেটিং-জীবন ও প্যারেন্টিং নিয়ে মুম্বাই মিররকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন এই অভিনেতা।

সংসার ভাঙার পরের সময় কারো জন্যই সুখকর সময় নয়। রণবীর শোরের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ছিল না। যার ফলে কঙ্কনার সঙ্গে আলাদা হওয়ার পর থেরাপির সাহায্য নিয়েছিলেন রণবীর শোরে; যা তার ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য প্রয়োজন ছিল। 

আরো পড়ুন:

কৃত্রিম ব্রেস্ট অপসারণ: শার্লিন বললেন, প্রজাপতির মতো লাগছে

অসম প্রেমের গল্প: বক্স অফিসে কতটা জমেছে অজয়-রাকুলের রসায়ন?

এ বিষয়ে রণবীর শোরে বলেন, “ডিভোর্সের পর একক বাবা হিসেবে আমার প্রয়োজনগুলো এখন ভিন্ন। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের আলাদা হওয়ার সময়টি পুত্রের জন্য ঠিক ছিল। কারণ তখন তার (পুত্র হারুন) বয়স ছিল মাত্র চার এবং সে তুলনামূলকভাবে কম মানসিক আঘাত নিয়ে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছে।”

প্রাক্তন জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সীমারেখা বজায় রাখার বিষয়ে রণবীর শোরে বলেন, “এতটা যোগাযোগ রাখা ঠিক নয়, যাতে আপনার বর্তমান সঙ্গীর অস্বস্তি হয়। আমি মোটেও তার পক্ষে নই। অবশ্যই, কারো সঙ্গে কখনো সম্পর্কে থাকলে, বিচ্ছেদের পর রাস্তায় দেখা হলে ‘হাই’ না বলে যাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু হ্যাঁ, আমার মনে হয় না, এমনটা হওয়া উচিত যে প্রাক্তনও পরিবারের অংশ হয়ে থাকে।”

ডিভোর্সের পর ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেছেন রণবীর শোরে। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করি। কার জন্য কেমন জীবনসঙ্গী প্রয়োজন, তা মানুষ ভেদে আলাদা। আমার ক্ষেত্রে, ডিভোর্স হওয়ার পর সিঙ্গেল বাবা হিসেবে প্রয়োজনগুলো ৩০ বছর বয়সি ব্যক্তির চেয়ে আলাদা।”

সিনেমার শুটিং সেটে রণবীর শোরের সঙ্গে কঙ্কনা সেন শর্মার প্রেমের সম্পর্কের সূচনা। ২০০৬ সালে ‘মিক্সড ডাবলস’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন তারা। এরপর চার বছর প্রেম করার পর ২০১০ সালে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেন কঙ্কনা-রণবীর। তারপর দ্রুত বাগদান সেরে বিয়েও করে নেন তারা। বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন কঙ্কনা। ২০১৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন রণবীর-কঙ্কনা। ২০২০ সালে আইনিভাবে বিচ্ছেদ হয় তাদের।

প্রথম সংসার ভাঙার পর একা জীবনযাপন করে আসছিলেন কঙ্কনা সেন শর্মা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে জানা যায়, নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় অভিনেতা অমল পরশরের সঙ্গে প্রেম করছেন কঙ্কনা সেন শর্মা। 

মজার বিষয় হলো, কঙ্কনা সেনের প্রাক্তন স্বামী রণবীর শোরে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) এক মন্তব্যে কঙ্কনার নতুন প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর তথ্যটি নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে বহুবার একসঙ্গে দেখা গেছে কঙ্কনা-অমলকে। তবে রণবীর শোরে কার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রণব র শ র ন রণব র

এছাড়াও পড়ুন:

আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা

টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।

স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেম

বর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।

ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণ

রিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।

মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগ

বর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।

বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।

আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
  • রওশন জাহান: বোন, শিক্ষক ও সহযোদ্ধা
  • বিদেশি খেলোয়াড়, দেশি খেলোয়াড় চিন্তা করে বাংলাদেশ জিততে পারবে না—বললেন শমিত
  • দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবনের মূলমন্ত্র কী? জানালেন ৮৪ বছর ধরে একসঙ্গে থাকা এই দম্পতি
  • দুজন তারকার কী বিয়ে করা উচিত, যা বললেন মিথিলা