নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ইস্যু : ১৯ আসামির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বাদীর যা অভি
Published: 16th, May 2025 GMT
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
১৩ মে রাতে ক্লাবের সুপারভাইজার রঞ্জন কুমার রায় সুমন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের কার কি ভুমিকা তা উল্লেখ করে বাদী তার এজাহারে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন :
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তথা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোষর যথাক্রমে- আসামী ১। একেএম সেলিম ওসমান (৭০), ২। একেএম শামিম ওসমান (৬৪), উভয় পিতা- মৃত একেএম সামসুজ্জোহা, সাং- হীরা মহল, রামবাবুর পুকুরপাড়, উত্তর চাষাঢ়া, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ ও ৩। তানভীর আহমেদ টিটু (৫১), পিতা- সাইফুদিন আহমেদ, সাং- ১ নিউ চাষাঢ়া, হাজী হায়দার আলী রোড, জামতলা, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জগন বিগত ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর হইতে ০৪ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত তাহারা তাহাদের দোষরদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিঃ এর নিয়ন্ত্রন নিয়ে ক্লাবে রাম রাজত্ব কায়েম করা শুরু করে এবং তাহাদের দ্বারা সংঘঠিত নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে সকল প্রকার দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও অর্থ (তহবিল) তছরুপ ইত্যাদি এবং সর্বশেষ নির্মণাধীন বহুতল ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্যাদি গোপন রাখিয়া টাকা পয়সা হরিলুটের ঘটনাবলী ধামাচাপা দেওয়াসহ সকল প্রকার অপকর্মের প্রমাণ গোপন করিবার অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ০২ আগস্ট ২০২৪ আনুমানিক সন্ধ্যা ০৬ ঘটিকার সময় ক্লাবের গেস্ট হাউসের প্রেসিডেন্ট স্যুটে বসে - গোপন শলা পরামর্শ করে।
ইহার প্রেক্ষিতে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের - সুযোগকে কাজে লাগাইয়া ১ হইতে ৩ নং আসামীদের প্রত্যক্ষ হুকুম ও নির্দেশে নিম্নেউল্লেখিত আসামীরা পরস্পর যোগসাযসিক ভাবে গত ০৫ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ০৮ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের ভিতর অসংখ্য ফাকা গুলিবর্ষণ ও ৮/১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাইয়া আতঙ্ক সৃষ্টি করি ক্লাবে লুটপাট ও ক্লাব ভাংচুর শুরু করে এবং ক্লাবের অফিসকক্ষে রক্ষিত সিন্দুক হইতে নগদ ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা নিয়া যায়।
একপর্যায়ে তাহারা অফিসকক্ষ, গেস্ট হাউস ও লাইব্রেরিসহ কয়েকটি কক্ষে বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা অগ্নিসংযোগ করিয়া অফিসের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র, ব্যাংকের জমা ও চেক বই, এফডিআর রশিদসহ, উল্লিখিত সময়ের হিসাবপত্র, আসবাবপত্র, ইন্টেরিয়র ডিজাইন/ডেকোরেশন, এসি, টিভি, ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার সেট, প্রিন্টার মেশিন, লেমোনেটিং মেশিন, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক ও মনিটরসহ সিসি ক্যামেরা, পিএবিএক্স মেশিন, ফ্রিজ, ডিপ ফ্রিজ, পানির মটর, আইপিএস সেট, সাউন্ড সিস্টেম, ফ্যান ইত্যাদি সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মালামাল বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা আগুন লাগাইয়া বষ্মিভূত করে।
উক্ত অগ্নিকান্ড থেকে ক্লাবের নামাজ ঘরও রক্ষা পায়নি। ইহাতে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব এর আনুমানিক প্রায় ১০,০০,০০,০০০/- (দশ কোটি) টাকা ক্ষতিসাধন হয়। ঘটনার সাথে জড়িত আসামীগণের নাম বিশদভাবে বর্ণনা করা হইল- ১। একেএম সেলিম ওসমান (৭০), ২। একেএম শামিম ওসমান (৬৪), উভয় পিতা- মৃত একেএম সামসুজ্জোহা, সর্ব সাং- হীরা মহল, রামবাবুর পুকুরপাড়, উত্তর চাষাঢ়া, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৩। তানভীর আহমেদ টিটু (৫১), পিতা- সাইফুদিন আহমেদ, সাং- ১ নিউ চাষাঢ়া, হাজী হায়দার আলী রোড, জামতলা, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৪। খবির আহমেদ (৭৮), পিতা- মৃত ইয়াকুব আলী, সাং- ৯৬, ২নং বাবুরাইল, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ,
৫। আসিফ হাসান মাহমুদ মানু (৫৪), পিতা- মৃত আসফাক হাসান মাহমুদ, সাং- ৪২ উত্তর চাষাঢ়া, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৬। শাহ্ নিজাম (৫৬), পিতা- মৃত নুর উদ্দিন সরকার, সাং-উত্তর চাষাঢ়া, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৭। ফয়েজউদ্দিন আহমেদ লাভলু (৬৫), পিতা- মৃত মহিউদ্দিন আহমেদ খোকা, সাং- মাসদাইর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৮। মোঃ আরমান হোসেন জুয়েল (৬২), পিতা- মৃত আসাদ আলী, সাং- ১২/৫, ভূইয়ার বাগ, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ,
৯। লিয়াকত হোসেন খোকা (৬২), পিতা- মৃত আইউব আলী, সাং- ৫৮ কেবি সাহা বাইলেন, আমলাপাড়া, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ১০। আজমেরী ওসমান (৪৯), পিতা- মৃত একেএম নাসিম ওসমান, সাং- হীরা মহল, উত্তর চাষাঢ়া, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ১১। জাকিরুল আলম হেলাল (৫৮), ১২। মোঃ শাহদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু (৫৫), উভয় পিতা- মৃত আব্দুল আওয়াল ভূঁইয়া, সর্ব সাং- ৬৯/২, উত্তর চাষাঢ়া, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ১৩। চন্দন শীল (৬৩), পিতা- মৃত রাজন্দ্র নারায়ণ শীল, ২৫ নতুন চাষাঢ়া (হামিদ ভিলা), নারায়ণগঞ্জ,
১৪। জালালউদ্দিন আহমেদ (৭২), পিতা- মৃত সোহার উদ্দিন (সোনামিয়া), সাং- কলাবাগ, সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ১৫। খোকন সাহা (৫৭), পিতা- মৃত দীজেন্দ্র সাহা, সাং- ডিএন রোড, গোয়ালপাড়া, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ১৬। মোঃ হাসান ফেরদৌস জুয়েল (৫৬), পিতা- মৃত ফোরকান মোল্লা, সাং- ২৩ আল্লামা ইকবাল রোড (রাজ্জাক টাওয়ার), নারায়ণগঞ্জ, ১৭। লিটন সাহা (৫৫), ১৮। বিল্পব সাহা রামু (৪৮), উভয় পিতা- মৃত হরিপদ সাহা, সর্ব সাং- ১৪ এস এম মালেহ্ রোড, টানবাজার, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ,
১৯। এস এম রানা (৪৬), পিতা- কমল সরদার, সাং- ৩২ সুলতান গিয়াসউদ্দিন রোড, শীতলক্ষা, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ২০। ইমতিনান ওসমান অয়ন (৩৭), পিতা- একেএম শামিম ওসমান, সাং-হীরা মহল, উত্তর চাষাঢ়া, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ২১। মোঃ সানাউল্লাহ (৬৩),পিতা- মৃত সফি উল্লাহ, সাং- ৪৪/৯ উত্তর চাষাঢ়া, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ২২। এ এম মোস্তফা কামাল (৬৫), পিতা- মৃত আলহাজ্ব এএম আব্দুল হামিদ, সাং-৪৬/৭ নিউ চাষাঢ়া, জামতলা, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ,
২৩। কামরুল হাসান মুন্না (৫২), পিতা- আমির হোসেন, সাং- ১১৭ নলুয়া পাড়া, শীতলক্ষা, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ২৪। এম মাসুদ-উর-রউফ (৬৯), পিতা- মৃত এম এ রহমান, সাং- ৮ আলম খান লেন, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ২৫। মিজানুর রহমান মিজান (৬১), পিতা-আলহাজ্ব সাহাবুদ্দিন মিয়া, সাং- ৫৫/১-এ এস এম মালেহ্ রোড (ফারজানা টাওয়ার), টানবাজার, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ২৬। শংকর কুমার রায় (৬১), পিতা- শীতল রায়, সাং- ২০৭/৩ বঙ্গবন্ধু সড়ক, চাষাঢ়া, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ,
২৭। ফাইজুল ইসলাম (৫৫), পিতা- মৃত আব্দুল মজিদ, সাং- কাইমপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ২৮। মোহাম্মদ মহসিন মিয়া (৫২), পিতা- মহিন মিস্ত্রি, সাং-সুচিয়ারবন্ধ, পোঃ- মদনগঞ্জ, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ২৯। মীর সোহেল (৫৫), পিতা- মৃত মীর মোজাম্মেল আলী, সাং- লালপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৩০। এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন (৬২), পিতা- মৃত সাদাত আলী মিয়া, সাং- ৩৫ কলেজ রোড (চাষাঢ়া বালুর মাঠ), নারায়ণগঞ্জ, ৩১। আবু হাসনাত শহীদ বাদল (৬৪), পিতা-মোঃ কেরামত আলী, সাং- ১০/১, আল্লামা ইকবাল রোড, নারায়ণগঞ্জ,
৩২। জসিমউদ্দিন (৫৬), পিতা- মৃত মোঃ নুরুদ্দিন, সাং- সর্দারপাড়া, খানপুর, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৩৩। আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন (৬৬), পিতা-মৃত কালু মিয়া, সাং- ৪০৫ পশ্চিম মাসদাইর, রিফাত রিজেনসি (জাপানী বাড়ি), থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৩৪। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫৮), পিতা- হাজী মোঃ রহমত উল্লাহ, সাং- শুভকরদি, কলাগাছিয়া, পোঃ মদনগঞ্জ, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৩৫। মোঃ আদনান কবির (৩৮), পিতা- কবিরুল ইসলাম, সাং- ৬/২ নিউ জামতলা, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ,
৩৬। কবির হোসেন (৫৫), পিতা- মৃত আমানউল্লাহ, সাং- তুলারাম মোড়, শীতলক্ষা, তামাকপট্টি, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৩৭। মোঃ আঃ করিম বাবু উরফে ডিশ বাবু (৫৩), পিতা- মৃত মোঃ আব্দুল গফুর, ৩৮। মোঃ রিয়ন (২৮), পিতা- মোঃ আঃ করিম বাবু, উভয় সাং- আমিনা মঞ্জিল, পাইকপাড়া, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৩৯। মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ ভিকি (৩৭), পিতা- ফয়েজউদ্দিন আহমেদ লাভলু (৬৫), সাং- মাসদাইর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ,
৪০। আব্দুল জাব্বার (৫৭), পিতা- মৃত মোঃ খলিল দালাল, সাং- কালীন্দিপাড়া, পোঃ- রিকাবীবাজার, থানা ও জেলা- মুন্সীগঞ্জ, ৪১। মইনুল হাসান বাপ্পি (৫১), পিতা- মৃত এম এ মালেক, সাং-নতুন-১৫/১, পুরাতন ২৩ নিউ চাষাঢ়া, জামতলা, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৪২। এহসানুল হক নিপু (৪৮), পিতা- মৃত একলাছ উদ্দিন আহমেদ, সাং- ১৩/১ শের এ বাংলা সড়ক, মাসদাইর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৪৩। অনুপ কুমার সাহা (৬২), পিতা- রবি সাহা, সাং- উত্তর চাষাঢ়া, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ,
৪৪। আব্দুল কাদির (৬৬), সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগ, সাং- সন্তাপুর (ডাক্তার বাড়ী), থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৪৫। দেবদাস সাহা (৬৩), পিতা- মৃত রাখাল চন্দ্র সাহা, সাং- ৩৭ এস এম মালেহ্ রোড, টানবাজার, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৪৬। সোহাগ রনি (৪০), পিতা- শাহ জামাল তোতা, সাং- ১/১ শের এ বাংলা রোড (এন এস টাওয়ার), মাসদাইর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জন যাহাদের দেখিলে সনাক্ত করা যাইবে।
উক্ত আসামীদের মধ্যে ১,৩,৪,৫,৭,১৭,১৮, ১৯, ২৬,৪১ ও ৪৬নং আসামীরা উল্লিখিত ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাহারা স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের প্রভাব খাটাইয়া একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিঃ এর পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তা হইয়া ক্লাবে রাম রাজত্ব কায়েম করা শুরু করে এবং ক্লাবে তাহাদের দ্বারা সংঘঠিত সকল প্রকার দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও অর্থ (তহবিল) ইত্যাদি অপকর্ম করিয়া কোটি কোটি টাকার তহবিল তছরুপ করিয়া নারায়ণগঞ্জ ক্লাবকে একটি শূন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত করিয়াছে।
এই সকল বিষয়াদী যাতে কোনভবেই প্রকাশ না হয়, সেই কারণেই তাহারা অন্যান্য আসামিগণকে নিয়া পরস্পর যোগসাযসিক ভাবে পূর্ব পরিকল্পনা ও অভিন্ন অভিপ্রায়ে ঘটনার সময় ও স্থানে অবস্থান করিয়া অসংখ্য ফাকা গুলিবর্ষণ ও ৮/১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাইয়া আতঙ্ক সৃষ্টি করিয়া ক্লাবে লুটপাট ও ক্লাব ভাংচুর করিয়া বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা অগ্নিকান্ড ঘটাইয়াছে। ইহাতে ২নং আসামী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নেতৃত্ব দিয়াছেন।
অপরাপর সকল আসামীগণ তাহাদের অপকর্মের দোষর হিসাবে ঘটনাস্থলে বিদ্যমান থাকিয়া ক্লাবের যাবতীয় তথ্য গোপন ও আলামত নষ্ট করিবার অভিপ্রায়ে যোগসাযসিক ভাবে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা অগ্নিসংযোগ করিয়া অপরাধ করিয়া ক্লাবের ক্ষতিসাধন করিয়াছে। আমি নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিঃ এর একজন ক্লাব সুপারভাইজার হিসাবে সকল বিষয় অবগত হইয়া ক্ষয় ক্ষতির পরিমান ও যাবতীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করিয়া এবং নিজে প্রত্যক্ষ করিয়া বিলম্বে অত্র এজাহার দায়ের করিলাম।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: শ ম ম ওসম ন ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ক ল ব উল ল খ ত উভয় প ত ম ওসম ন উল ল হ ম ত এক জ মতল আগস ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।
নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।
তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা।
এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা।
এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।
চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না।
এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই।
তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো?
আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।
এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।