সাভারে বাগ্বিতণ্ডার জেরে বেসরকারি ৭১ টিভির ক্যামেরাপারসনকে মারধর
Published: 17th, May 2025 GMT
ঢাকার সাভারে বাগ্বিতণ্ডার জেরে বেসরকারি ৭১ টিভির ক্যামেরাপারসন মো. উজ্জ্বল হোসেনকে (৪২) মারধর করেছেন একদল যুবক। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের উত্তর চাপাইন এলাকার মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত উজ্জ্বল হোসেনের বাড়ি সাভারের লালটেক এলাকায়। তাঁকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আহত উজ্জ্বল হোসেন জানান, উত্তর চাপাইন এলাকায় তাঁর বাসার অদূরে একটি পুকুরপাড়ে নিয়মিত মাদক সেবন করেন চাপাইন ও লালটেক এলাকার ১০ থেকে ২০ জন যুবক। তিনি বিভিন্ন সময় সেখানে মাদক সেবন করতে নিষেধ করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবককে থামিয়ে কোথায় গিয়েছিল জানতে চাইলে তাঁরা তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। এরপর তিনি একটু দূরে লালটেক মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় যান। তখন ওই দুই যুবক আরও ৮ থেকে ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদের সামনে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে ওই যুবকদের পরিচিত স্থানীয় ওহাব হাজি (৬০) ও তাঁর ছেলে মো.
উজ্জ্বল অভিযোগ করেন, আজ বেলা ১১টার দিকে তিনি বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। লালটেক কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে পৌঁছালে সাদ্দাম তাঁর পথরোধ করেন। তাঁর (সাদ্দাম) বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তাঁকে বাঁশ দিয়ে পেটান। এ সময় সাদ্দামের দুই ভাই অতনু (২৫) ও হৃদয় (২০) ও তাঁর বাবা ওহাব হাজী (৬০) ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে কিল-ঘুষি দেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
জানতে চাইলে ওহাব হাজি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় তাঁরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
মেসের বারান্দার গ্রিলে ঝুলছিল শিশুর লাশ
নাটোর শহরের আলাইপুরে একটি আবাসিক মেস থেকে ইয়াছিন হোসেন (১৩) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে মেসের বারান্দার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ইয়াছিনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। সে নাটোর শহরের আলাইপুরে একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের ১৫ দিন পর এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে নাটোর শহরের আলাইপুরে এক কারখানায় কাজে আসে ইয়াছিন। কিছুদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে যেতে পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ইয়াছিন। কিন্তু, ব্যর্থ হয়। মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গত দুদিন ধরে কান্নাকাটি করছিল শিশুটি। বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সকালে কাজের বুয়া রান্না করতে এসে দেখেন, বারান্দার গ্রিলে ইয়াছিনের মরদেহ ঝুলছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ইয়াছিনের সহকর্মী স্বপন বলেন, ‘‘বাড়ি যাওয়ার জন্য ইয়াছিন কান্নাকাটি করছিল। তার বাবা-মাকে ফোন করছিল, কিন্তু তারা মোবাইল রিসিভ করেনি। সকালে কাজ থেকে খাবার খেতে মেসে আসি। সবাই ভাত খেলেও ইয়াছিন খায়নি। খাবার শেষে আমরা আবার কাজে চলে যাই। পরে মেসের খালা এসে দেখেন, বারান্দার গ্রিলে তার মরদেহ ঝুলছে।’’
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’
ঢাকা/আরিফুল/রাজীব