‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্তে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী
Published: 18th, May 2025 GMT
গণভোটের মাধ্যমে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় দলটি এই প্রস্তাব দিয়েছে। আলোচনা শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা হয়। এর আগে ২৬ এপ্রিলও দলটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। আজ দলটির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদ তৈরি করা হবে। এর নাম হবে জুলাই সনদ।
আজ রোববার বিকেলে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে জামায়াতের নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে বা ঐকমত্য হয়নি, কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; এ ধরনের বিষয় এক করে কোন পদ্ধতিতে তা আইনগত ভিত্তি পাবে, তা নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে খুব স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, তাঁরা গণভোট চান।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে আমাদের জুলাই চার্টার (জুলাই সনদ) হোক, ন্যাশনাল চার্টার (জাতীয় সনদ) হোক এবং চার্টারের বাইরেও যদি কোনো ইম্পর্ট্যান্ট ইস্যু (গুরুত্বপূর্ণ বিষয়) থাকে, সেটাকে ইনক্লুড (অন্তর্ভুক্ত) করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গণভোট চায়।’
গণভোট চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, গণভোট হচ্ছে সব মানুষের মনের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষই এখানে সিদ্ধান্ত নেবে। গণভোটের মাধ্যমে এর আইনগত একটি ভিত্তি হবে। জামায়াতে ইসলামী এটাকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আজাদ, এহসান মাহবুব যোবায়েরসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ল ই সনদ গণভ ট চ গণভ ট র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কারের জন্য জামায়াত সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি: নায়েবে আমির
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি আছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী সংস্কারকে দলীয় নয়, দেশ ও জনগণের জন্য কাজ বলে মনে করছে। তাই জামায়াত সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি আছে।
শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নায়েবে আমির জানান, জামায়াতে ইসলামী সংস্কারের বিষয়ে দলীয় অবস্থান পুনর্বিবেচনা করেছে। যেসব বিষয়ে প্রথমে জামায়াত একমত ছিল না, পরে আলোচনার মাধ্যমে কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে।
মো. তাহের বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রসেস এবং ইস্যুতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে নয়, দেশের স্বার্থে-জাতীয় স্বার্থে সবার কল্যাণে জামায়াতে ইসলামী বিবেচনা করছে। এ কারণেই আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে যেগুলো উত্তম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, সেখানে প্রয়োজনে আমরা আমাদের মতো পরিবর্তন করে ঐকমত্য পোষণ করেছি। আমরা যখনই বুঝতে পারছি, আমাদের যে সিদ্ধান্ত বা চিন্তা তার চেয়ে আরও ভালো হতে পারে দেশ ও জাতির জন্য, তখনই আমরা পরিবর্তন আনছি। কারণ একটাই, আমাদের লক্ষ্য, কিন্তু দলীয় নয়, জাতীয় অর্জন।
বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আর ২-১ দিনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের সংলাপ শেষ হবে। তারপর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ শুরু হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অনেক বিষয়ে একমত হয়েছে। কিছু জায়গায় দ্বিমত আছে। যেসব দ্বিমত আছে সেসব বিষয়ে আগের বৈঠকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলা হয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে দলটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।