কালো টাকা সাদা করার সব বিধান বাতিলের দাবি টিআইবির
Published: 20th, May 2025 GMT
কালো টাকা সাদা করার সব ধরনের সুযোগ অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুবিধা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাতিল করেছিল। তারপরও এখনো কিছু দুর্নীতিসহায়ক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক বিধান রয়ে গিয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে এই সুবিধা বাতিলের জন্য অর্থ উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ কথা বলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২১ বার বিভিন্ন সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। এ ধরনের অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক সুবিধা করদাতাদের কর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে, যা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি দুর্নীতির বিস্তার ঘটায়। বিগত সরকার গত অর্থবছরের সর্বশেষ বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুবিধা দিয়েছিল।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আয়কর আইন ২০২৩–এ এখনো অপ্রদর্শিত টাকা বৈধ করার নামে কালো টাকার বৈধতা প্রদানের তিনটি বিধান বিদ্যমান রয়েছে, যা এখনো কালো টাকার বৈধতার পথ খুলে দেয়। এসব বিধান অবিলম্বে অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে, যা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে গঠিত কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, বৈধ উৎস ছাড়া আয়ের বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। কারণ, অতীতে দেখা গেছে, বারবার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েও রাজস্ব আদায়ে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়নি। তাতে বরং যে নৈতিক ক্ষতি হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
বিজ্ঞপ্তিতে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের প্রথম বাজেটে দৃষ্টান্ত স্থাপনের অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সব সুযোগ বাতিল করবে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবেও অর্থ উপদেষ্টার কাছে এই আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাছ নাকি মুরগি: ওজন কমাতে কোনটি উপকারী?
মাছ এবং মুরগি দুটিই শরীরের জন্য উপকারী। তবে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কোনটি উপকারী জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
পুষ্টিবিদদের মতে, যারা ওজন কমাতে চান তাদের নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি ভালো প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় খুব কম পরিমাণে চর্বিযুক্ত খাবার রাখা উচিত। প্রোটিন দীর্ঘস্থায়ী শক্তি যোগায়। এটি পেশিকে শক্তিশালী করে। মাছ এবং মুরগি দুই খাবারেই প্রোটিন পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে চাইলে মাছ না মুরগি
কিছু গবেষণা অনুসারে, মাছ খেলে পেট ভরা অনুভূতি হয়। মাছে ক্যালোরি কম থাকে। এটি খেলে পেশি শক্তিশালী হয় এবং তুলনামুলকভাবে শরীরে বেশি শক্তি পাওয়া যায়।
‘নিউট্রিশন’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, হৃদ্রোগীদের সুস্থ থাকতে মাছ খাওয়া খুব জরুরি। এ ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ খুব উপকারী। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো। চাইলে ছোট মাছও খেতে পারেন। যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তারাও বেশি করে মাছ খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে মুরগিও দারুণ উপকারী। মুরগির মাংসে থাকা নানা রকম স্বাস্থ্যগুণ দ্রুত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। তবে মুরগির মাংস কী ভাবে খাচ্ছেন সেটা জরুরি। ডোবা তেলে ভেজে খাওয়া ঠিক নয়। শরীরের যত্ন নিতে চাইলে চিকেন দিয়ে বানাতে হবে স্টু, স্যুপ জাতীয় খাবার। অনেকে আবার গ্রিলড চিকেনও খান। সিদ্ধ মুরগির মাংস খেতে পারলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, আট সপ্তাহ ধরে অন্য কোন মাংস না খেয়ে শুধু মাছ খাওয়া ব্যক্তিরা, মাছ না খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক বেশি ওজন কমিয়েছেন। তবে শুকনো মাছে বেশি ক্যালোরি থাকে। যারা ওজন বাড়াতে চান তারা শুকনো মাছ খেতে পারেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে মাছ এবং মুরগির মাংস দুটি জরুরি। তবে মাছ কিংবা মাংস যাই খান, কী ভাবে খাচ্ছেন খেয়াল রাখুন। বেশি বেশি তেল-মসলা দিয়ে রান্না করে খেলে কোনও ফল পাওয়া যাবে না।