চলতি মে মাসেই বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া।
তিনি জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরের পর বাংলাদেশ থেকে চীনে কৃষিপণ্য, বিশেষ করে আম রপ্তানির বিষয়ে সরকার জোরালোভাবে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশে আম উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২৭ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে কয়েকটি দেশে আম রপ্তানি হচ্ছে। আমের নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও রপ্তানির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আমের পাশাপাশি কাঁঠালসহ অন্যান্য ফল রপ্তানির জন্য সরকার কাজ করছে।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন কৃষি সচিব।
তিনি বলেছেন, কৃষি উৎপাদনকে টেকসই ও যুগোপযোগী করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে এ পরিকল্পনার গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদেই এ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।
কৃষি সচিব জানান, দেশের কৃষিকে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানের সেবাগুলো একটি ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) আওতায় আনা হবে। দেশের প্রতিটি ভূমি মৌজাকে ডাটাবেজের আওতায় এনে সার, বীজ, বালাইনাশক, সেচ, ফসল বৈচিত্র্য, আবহাওয়া, রোগবালাইসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য সন্নিবেশিত একটি মোবাইল অ্যাপস ‘খামারি’ চালু করা হচ্ছে। এ অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষক তার জমিতে কোন মৌসুমে কী ফসল চাষ করতে হবে, তার পরিচর্যা থেকে শুরু করে ফসল উঠানো পর্যন্ত সকল তথ্য ও সেবা পাবেন।
দেশের শিক্ষিত নারী ও তরুণদের কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করবে। কৃষি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে সরকার সচেষ্ট বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
সচিব জানান, চলতি বছরে দেশে ফসলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। ধান ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন সন্তোষজনক। পঁচনশীল শাক-সবজি, আলু ও পেঁয়াজ সংরক্ষণে আধুনিক হিমাগার ও সংরক্ষণাগার তৈরি করা হচ্ছে।
গত বছর আগস্টে অকস্মাৎ বন্যায় দেশের ২৩টি জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। বিশেষ প্রণোদনা ও তদারকির মাধ্যমে সে সংকট কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে।
সরকারের সঠিক পদক্ষেপ ও নেতৃত্বের কারণে সার কেনার বিশাল অংকের বকেয়া পরিশোধ করে দেশে সারের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। দেশে বর্তমানে কোনো সার সংকট নেই।
চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রণোদনার মাধ্যমে আম চাষে কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা
দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।
বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।
তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।