রাতের আঁধারে ডিআরইউ সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ একাধিক সাংবাদিক আহত
Published: 22nd, May 2025 GMT
পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে রাতের আঁধারে অতর্কিতভাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) হামলা চালিয়েছে দখলবাজ আওয়ামী দোসর সন্ত্রাসী জাকির হোসেন ও তার অনুসারীরা। এ সময় ডিআরইউ সভাপতি ও ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, ডিআরইউ দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, ডিআরইউ সিনিয়র সদস্য মশিউর রহমান, মাহবুব হাসান, দেলোয়ার মহিন, মফিজুল সাদিকসহ আরো অনেক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার (২১ মে) রাতে ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত 'চেয়ারম্যান টি স্টল' নামের একটি দোকানের মালামাল তারা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় কারণ জানতে চাইলে এই বর্বর হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী জাকির ও তার স্ত্রী, কন্যা, ভাগনেসহ শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী ডিআরইউ প্রাঙ্গণে হামলা চালায়। তারা প্রথমে ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে থাকা ‘চেয়ারম্যান টি স্টল’ নামে একটি দোকান ঘিরে ফেলে এবং দোকানের প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। দোকান ভাঙচুর করে দোকানটি পুরোপুরি গায়েব করে দেয় হামলাকারীরা।
এ প্রসঙ্গে ডিআরইউ-এর সিনিয়র সদস্য মশিউর রহমান জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। ডিআরইউ-এর সভাপতি হামলার বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি সদস্যদের শরীরে হাত তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় বেশ কিছু সাংবাদিক নেতা-সদস্য আহত হয়েছেন।
হামলা প্রসঙ্গে ডিআরইউ সভাপতি বলেন, ‘‘জাকিরের অনুসারীরা হঠাৎ করেই আমাদের উপর হামলা করেছে। এর আগে একটা দোকান লুট করে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে তারা আমাদের সদস্যদের উপর হামলা করে। এরপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি, পরবর্তীতে ডিআরইউ-এর সদস্যদের উপরে রাতের আধারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।’’
রাতের আঁধারে কাপুরোষিত এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্। ক্র্যাব নেতৃবৃন্দ, জাকির গংদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
ডিআরইউ সদস্যরা এই বর্বর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি পেশাজীবী সংগঠনের ওপর এমন সন্ত্রাসী আক্রমণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
ডিআরইউর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হবে এবং মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সাংবাদিক সমাজ একযোগে এ ঘটনায় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঢাকা/এএএম//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড আরইউ স সদস য র উপর র সদস
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক শামীম আহমেদ মারা গেছেন
জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শামীম আহমেদ মারা গেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
সোমবার সকালে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এর আগে রোববার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সাংবাদিক শামীম আহমদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শামীম আহমদের ছোট ভাই ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য রাশেদ আহমেদ মিতুল বলেন, ‘তার জানাজা বাদ আছর খিলগাঁও চৌধুরী পাড়ার মাটির মসজিদে হবে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
সাংবাদিক শামীম আহমদ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাসে প্রেস মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া বার্তা সংস্থা ইউএনবির সাবেক চিফ অব করেসপন্ডেন্টস ও সিটি এডিটর হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
পরিবারে শামীম আহমদ তার মা, চার ভাই, তিনবোন এবং আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। শামীম আহমদের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল শোক জানিয়েছেন।
এছাড়া ডিক্যাব সভাপতি একেএম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন সাংবাদিক শামীম আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় তারা বলেন, শামীম আহমদ ছিলেন দেশের সাংবাদিকতা অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। পেশাগত সততা, নিষ্ঠা ও নেতৃত্বগুণে তিনি সাংবাদিকদের জন্য এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। তিনি শুধু একজন দক্ষ সাংবাদিকই নন, ছিলেন একাধারে সংগঠক, অভিভাবক এবং বন্ধু। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন অভিজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান ও সম্মানিত সহকর্মীকে হারালাম, যিনি ডিক্যাব-এর কার্যক্রমে সব সময় নিবেদিতভাবে যুক্ত ছিলেন এবং সংগঠনের উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।