ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬৩ পদে চলছে আবেদন, শেষ ২৫ মে
Published: 24th, May 2025 GMT
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনবল নিয়োগে পুনরায় সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ৯টি পদে মোট ৬৩ জনকে নিয়োগের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পদগুলোর যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। অনলাইনে পদগুলোর জন্য আবেদন চলছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (নম্বর ৪৬.১০.০০০০.০০৫.১১.
১. সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত)
পদসংখ্যা: ১০টি
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩০৬০ টাকা
আবেদনের যোগত্যা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরকৌশলে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
আরও পড়ুনরংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে নিয়োগ, ৭৬ পদের আবেদন অনলাইনে১০ মে ২০২৫২. সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)
পদসংখ্যা: ৭টি
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩০৬০ টাকা
আবেদনের শিক্ষাগত যোগত্যা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদ্যুৎ প্রকৌশলে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
৩. সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক)
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যন্ত্র প্রকৌশলে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
৪. উপকর কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৩টি
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রিসহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষতা।
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষে চাকরি, পদ ২৮, আবেদন ফি ১০০১৪ মে ২০২৫৫. কীট নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যা বা কৃষিসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতকোত্তর বা ডিগ্রি।
৬. ভেটেরিনারি কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ১০টি
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পশুচিকিৎসা বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত।
৭. উপসহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত)
পদসংখ্যা: ১৭টি
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮৬৪০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান থেকে পুরকৌশলে ডিপ্লোমা।
এআই/প্রথম আলোউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন য ন দ ব ত য় শ র ণ সমম ন র ড গ র র ত পদস খ য প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫