ডিআরইউতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা মামলায় স্ত্রীসহ জাকির কারাগারে
Published: 25th, May 2025 GMT
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় জাকির হোসেন এবং তার স্ত্রী বিউটি খাতুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৫ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক খালেক মিয়া তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরো পড়ুন:
ডিআরইউতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, স্ত্রীসহ সন্ত্রাসী জাকির গ্রেপ্তার
ডিআরইউতে জাকির গ্রুপের হামলার ঘটনায় মামলা
এর আগে, শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেগুনবাগিচা এলাকার বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
গত বুধবার (২১ মে) রাতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটে। পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সন্ত্রাসী জাকির হোসেন, বিউটি খাতুন, আদর আক্তার, উদয় হাসান, হৃদয়, অন্তরা, ইমু, রানা, কামাল ও রতনসহ অজ্ঞাত প্রায় ৫০ জন সন্ত্রাসী এই হামলায় অংশ নেয়।
এ সময় ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, সদস্য মশিউর রহমান, মাহবুব হাসান, দেলোয়ার মহিন, মফিজুল সাদিকসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অ্যাডমিন অফিসার সোলাইমান হোসেন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
ঢাকা/এম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের জানাজা অনুষ্ঠিত
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিমন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (৩০ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পেশাগত কাজে এসে দুপুর ১১টার দিকে তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন।প্রথমে তাকে পাশের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও পরে গাজীপুর শহীদ তাহউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দুপুর ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরো পড়ুন:
অনুমতি ছাড়া কাউন্সিলে নাম, প্রত্যাহার চেয়ে ক্ষোভ নূরুল কবীরের
সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’
বুধবার বাদ জোহর ডিআরইউ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের নেতৃত্বে সাঈদুর রহমান রিমনের কফিনে শ্রদ্ধা অর্পণ করে কার্যনির্বাহী কমিটি।
এর আগে সাঈদুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। বক্তব্য রাখেন ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উমর ফারুক আলহাদী ও সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ।
এ সময় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য আকতারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদুর রহমান রিমনের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল গভীর শোক প্রকাশ করেন। ডিআরইউ নেতারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি গাজীপুরের দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।এর আগে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনের ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং সেলের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ, সংবাদ, মানবজমিন, মুক্তকণ্ঠ, বাংলাবাজার পত্রিকা ও দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করেছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অনন্য প্রতিভার অধিকারী তিনি ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিংসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি