এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়ল ২৫ শতাংশ
Published: 26th, May 2025 GMT
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা (বোনাস) বাড়ানো হয়েছে। এত দিন তাঁরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ বোনাস পেতেন, এখন পাবেন ৫০ শতাংশ। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই বাড়তি বোনাস পাবেন।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ চারটি শর্তজুড়ে দিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বোনাস বাড়িয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বোনাস নতুন করে বাড়ানো হয়নি। তাঁরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বোনাস আগে থেকেই পেয়ে আসছেন।
নতুন যেসব শর্ত যুক্ত করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, এ ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। এ ভাতা–সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবে, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় যেদিন আদেশ জারি (জিও) করবে, সেদিন থেকে এ ভাতা কার্যকর হবে। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের জারি করা জিও অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া গত মাসে ফেসবুকে এক পোস্টে ঈদুল আজহার বোনাস ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
তার আগে ৫ মার্চ শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব ছাড়ার দিন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অবশ্য জানিয়েছিলেন, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও বিনোদন ভাতা বাড়ানো হচ্ছে।
সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় পাঁচ লাখ। তাঁরা সরকার থেকে বেতনের মূল অংশ এবং কিছু ভাতা পান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এক ঈদে সরকারের বাড়তি ব্যয় হবে ২২৯ কোটি টাকা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।