বিয়ে করতে বাইসাইকেলে চেপে কনের বাড়িতে হাজির হয়েছেন বর; গত শতাব্দীর আশির দশকে এমন দৃশ্য হরহামেশা দেখা গেলেও এখন এ দৃশ্য বিরল। অতিথিদের অতীতের সেই কথা মনে করিয়ে দিতেই হয়তো বাইসাইকেলে চেপে কনের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন এক চীনা বর।
চীনে সাধারণত বর চেষ্টা করেন দামি গাড়িতে চড়ে বিয়ের জন্য কনের বাড়িতে যেতে। নিজের গাড়ি না থাকলে ভাড়া গাড়ি, এমনকি বন্ধু-স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে হলেও দামি গাড়িতে চেপে কনের বাড়িতে যাওয়া চাই। কিন্তু কনে শিং মোটেও তেমনটা চাননি। বরং তাঁর ইচ্ছায়ই তাঁর বর বাইসাইকেল চালিয়ে তাঁকে বিয়ে করতে আসেন।
হুনান ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের মধ্যাঞ্চলের হেনান প্রদেশের লুওহে শহরে ১৩ মে শিংয়ের বিয়ের আয়োজন হয়। সেদিন বর-কনে ২০ মিনিটের সাইকেলযাত্রায় অংশ নেন। পথজুড়ে সবাই তাঁদের শুভেচ্ছা জানান।
কনে শিং বাইসাইকেল চালাতে খুবই ভালোবাসেন। সেই সঙ্গে মা-বাবার প্রজন্মের সহজ-সরল ভালোবাসার প্রতি মুগ্ধতা থেকে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। শিং বলেন, ‘আমি বাইসাইকেল চালাতে ভালোবাসি। নিজের বিয়েতে অন্যদের থেকে আলাদা কিছু করতে চেয়েছিলাম, এ জন্য বাইসাইকেল বেছে নেওয়া।’
প্রিয়তমার ইচ্ছা বলে কথা, তাই রাজি হয়ে যান শিংয়ের হবু বর। বরযাত্রায় অত্যাধুনিক কোনো সাইকেল নয়, বরং পুরোনো ধাঁচের একটি বড় আকারের বাইসাইকেল বেছে নেন তিনি।
শিং বলেন, ‘এই পুরোনো ধাঁচের ঐতিহ্যবাহী সাইকেল শুধু অতীতের ফ্যাশনের প্রতীকই নয়, বরং এটি আগের প্রজন্মের সহজ ও বিশুদ্ধ ভালোবাসার প্রতীকও বটে। আমি আশা করি, আমরা আমাদের মা-বাবার মতো হব, একসঙ্গে ভালোবাসব এবং সারা জীবন একে অপরের সঙ্গী হয়ে থাকব।’
শিং যখন সাইকেলে চেপে বরযাত্রা করার ইচ্ছার কথা জানান, তখন তাঁর বা বরের মা-বাবা, কেউ কোনো আপত্তি করেননি। বরং তাঁদেরও মনে হয়েছে, দামি লিমোজিন ব্যবহারের চেয়ে বাইসাইকেল বরং অনেক অর্থবহ হবে।
বরপক্ষের বন্ধু-আত্মীয়রাও সাইকেলে চেপেই কনের বাড়িতে আসেন এবং কনেপক্ষের লোকজনকে নিয়ে নবদম্পতির বাড়িতে ফেরার পথের সঙ্গী হন।
শিং জানান, পথচারী ও যাত্রাপথের গাড়িচালকেরা তাঁদের আশীর্বাদ করেছেন, এতে তিনি দারুণ খুশি। কোনো কোনো পথচারী তাঁদের কাছে মিষ্টিও চান বলে হাসতে হাসতে বলেন শিং। চীনা ঐতিহ্যগত বিয়ের অংশ হিসেবে পুরো পথে যা আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবারো জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান
আবারো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য তৃতীয়বারের মতো তিনি এই পদে নির্বাচিত হলেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ।
আরো পড়ুন:
হাসপাতালের নতুন ভবন চালুতে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিল জামায়াত
নির্বাচনে ‘অবিচল’ সরকার, যে যার শর্তে ‘অটল’ রাজনৈতিক দল
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর অভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনের ‘আমির’ ঘোষণা করেন।
এর আগে, ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশের রুকনদের (সদস্য) কাছ থেকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম ভোট গণনা শেষ করেন। সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ‘আমির’ নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ