পুকুর থেকে ফুটবল তুলতে গিয়ে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
Published: 28th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে খেলার সময় পুকুরে পড়ে যাওয়া ফুটবল তুলতে গিয়ে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বেহাকৈর নয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- বেহাকৈর নয়াপাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৮) ও একই এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে জুনায়েদ হোসেন (৬)
জানা যায়, খেলার সময় পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফুটবল পড়ে যায়। সেই বল তুলতে গিয়ে পুকুরে নামে হাবিবুর ও জুনায়েদ। এ সময় তারা ডুবে যায়। বিষয়টি এক নারী দেখতে পেয়ে উভয়ের পরিবারকে জানায়। এরপর আশপাশের মানুষসহ পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে তাদের কাঁচপুরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। তবে, অবস্থার অবনতি দেখে ওই হাসপাতাল ভর্তি না নিয়ে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর মদনপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন হত দ ই
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।