গাজীপুর সদর হাসপাতাল থেকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে পদায়ন পেয়ে বদলি হন ডা. ফয়সাল আহমেদ। সেখানে যোগ দেওয়ার পরদিন থেকেই তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করলেও তিনি কোনো জবাব দেনটি।

ডা. ফয়সাল আহমেদ তার অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে ঘাড়ের হাড় ক্ষয়জনিত ব্যথার কথা উল্লেখ করেছেন। 

গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা.

মামুনুর রহমান বলেন, “তিনি আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, পোস্টিং তার পছন্দ হয়নি।”

আরো পড়ুন:

ময়মনসিংহে বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় নিহত ৩

চক্ষু বিজ্ঞানের কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাইয়ের আহতদের ধাক্কাধাক্কি 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ৩ মে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন ডা. ফয়সাল আহমেদ। শ্রীপুরের মতো ব্যস্ত শিল্পাঞ্চলে রোগীর চাপ তুলনামূলকভাবে বেশি। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসকের অনুপস্থিতি রোগীদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলছে।

গত ৭ মে, ১২ মে এবং ১৮ মে- এই তিন তারিখে অনুপস্থিত থাকার কারণে ডা. ফয়সালকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসেন। চিকিৎসক সংকট থাকলে রোগীদের সেবা দিতে আমরা হিমশিম খাই। একজন চিকিৎসকের অনুপস্থিতি আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। ওই চিকিৎসককে শোকজ করা হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।”

ডা. ফয়সাল আহমেদ তার অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে ঘাড়ের হাড় ক্ষয়জনিত ব্যথার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমাকে হুট করে শ্রীপুরে বদলি করা হয়েছে। এটা আমার প্রত্যাশার বাইরে। আমি জয়েন করেছি ঠিকই, কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে কাজে যোগ দিতে পারছি না। সরকারের কাছে আবেদন করেছি, আশা করি সমাধান হবে।”

গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মামুনুর রহমান বলেন, “তিনি আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, পোস্টিং তার পছন্দ হয়নি। ডিজি মহোদয় দেশের বাইরে আছেন, তিনি ফিরলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়েছি।”

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ স ব স থ য কমপ ল ক স ফয়স ল আহম দ চ ক ৎসক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

তানোরে চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব টাকা চুরির অভিযোগে আরজেদ আলী ওরফে কুরহান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার জোড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুরহানের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই কুরহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। টাকা উদ্ধারের পর বুধবার বিকেলে কুরহানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী নগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার বাসিন্দা মাবিয়া খাতুন জমি বিক্রি করতে গত সোমবার তানোর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সঙ্গে ছিল জমি বিক্রির ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অফিসে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মাবিয়া খাতুন তার টাকার ব্যাগটি চেয়ারের পাশে রাখেন। এ সুযোগে কৌশলে ব্যাগটি নিয়ে সটকে পড়ে কুরহান।

মোবাইল ফোনে কথোপকথন শেষে ব্যাগটি না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন মাবিয়া খাতুন। এতে পুরো অফিসজুড়ে হইচই পড়ে যায়। পরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘটনার দিনই মাবিয়া খাতুন তানোর থানায় অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে চোর শনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতেই কুরহানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশকে কুরহান জানিয়েছেন, ব্যাগটি চুরি করে কাউকে কিছু না বলে তিনি বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে তা পুঁতে রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টাকা খরচের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে, এত দ্রুত ধরা পড়বেন, সেটা ভাবেননি।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, কুরহান চুরির কথা স্বীকার করলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পেছনের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ব্যাগভর্তি টাকা। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই টাকা মালিক মাবিয়া খাতুনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ