বৈরী আবহাওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া লঞ্চ রুট বন্ধ
Published: 29th, May 2025 GMT
বৈরী আবহাওয়ার কারণে পদ্মা নদী উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ রয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা দেড়টার দিকে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৮ থেকে এ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে ফেরি চলাচল।
জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ঝড় ও হালকা বাতাস বইতে শুরু করে। সেইসঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। ফলে উত্তাল হয়ে ওঠে পদ্মা নদী। যার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ।
পান্না লাল নন্দী জানান, বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সকাল সাড়ে ৮ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। বর্তমানে নদী কিছুটা উত্তাল।
ঢাকা/চন্দন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত
রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।