ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ বাংলাদেশ হাইকমিশনারের
Published: 29th, May 2025 GMT
দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হলেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন রিয়াজ হামিদুল্লাহ। এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝি তাঁর পরিচয় পেশ করার কথা ছিল। তবে অনুষ্ঠানটি হওয়ার আগ মুহূর্তে স্থগিত হয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশ নয়, তুরস্ক, থাইল্যান্ডসহ মোট পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে সমকালকে জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনিত হয় ভারতের। আর তুরস্ক শক্তিশালী রাষ্ট্র। তাই হঠাৎ করে তুরস্কের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান স্থগিত করতে পারছিল না দিল্লি। তাই তখন একসঙ্গে সব দেশের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ গত ৭ এপ্রিল দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। দিল্লিতে হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে আঞ্চলিক সংস্থা ও বহুপক্ষীয় অর্থনৈতিক বিষয়গুলো দেখভাল করতেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র র ষ ট রপত অন ষ ঠ ন ত রস ক
এছাড়াও পড়ুন:
নারীদের সেরা সঞ্চয়; পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কত, কীভাবে কিনবেন
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্র হলো পরিবার সঞ্চয়পত্র। নারীরা এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার তুলনামূলক বেশি এবং প্রতি মাসে মুনাফা তোলা যায়।
পরিবার সঞ্চয়পত্র নামে এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে অর্থাৎ পাঁচ বছর পর ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
বর্তমানে যে চারটি সঞ্চয়পত্র আছে, এর মধ্যে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পরেই এই সঞ্চয়পত্রে সবচেয়ে বেশি মুনাফার হার। ২০০৯ সালে এই সঞ্চয়পত্র চালু করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। দেড় দশক ধরে এই সঞ্চয়পত্র দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্র হিসেবে পরিচিত।
মূল্যমান কত১০ হাজার টাকা, ২০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা এবং ১০ লাখ টাকা।
কোথায় পাওয়া যায়জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাসমূহ, বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে কেনার পাশাপাশি নগদায়ন করা যায়।
মেয়াদ
পাঁচ বছর
মুনাফার হার১ জুলাই থেকে সরকার সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে। যেমন পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
মেয়াদ পূর্তির আগে নগদায়ন করলে কম হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধিত হয়ে থাকলে তা মূল টাকা থেকে কর্তন করে সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করা হবে।
উৎসে করপাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বমোট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে এবং এর অধিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়।
কারা কিনতে পারবেনতিন শ্রেণির বিনিয়োগকারী পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে। এক. ১৮ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী; দুই. যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও মহিলা); তিন. ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি (পুরুষ ও মহিলা) নাগরিক।
ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাএকক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) লাখ টাকা।
অন্য সুবিধাপরিবার সঞ্চয়পত্র কেনায় কিছু সুবিধা আছে। যেমন মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা পাওয়া যায়; নমিনি নিয়োগ বা পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়; সঞ্চয়পত্রের ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনি সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন অথবা মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত যথারীতি মাসে মাসে মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন।