‘পুশ ইন’–এর (ঠেলে লোক পাঠানো) নামে ভারত বাংলাদেশের সীমান্তকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে বলে মনে করে খেলাফত মজলিস। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ভারতকে পুশ ইন বন্ধ করতে এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার স্থানীয় জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি বিজিবিকে সহায়তা করতে বলেছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নির্বাহী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে খেলাফত মজলিস ভারতের ‘পুশ ইন’ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বক্তব্যের কথা জানায়।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় খেলাফত মজলিসের নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কয়েক সপ্তাহ যাবৎ বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ, শিশুদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশ ইন করছে। ভারতকে অবিলম্বে বাংলাদেশে পুশ ইন বন্ধ করতে হবে।

খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রকৃত কোনো নাগরিক ভারতে থাকলে তাঁদের যথাযথ চ্যানেলে ফেরত নিতে আপত্তি নেই। কিন্তু তা না করে ভারত পুশ ইনের নামে বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তুলেছে।

তাঁরা আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সব ধরনের উসকানি বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে বিজিবিকে সহায়তার জন্য স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।

বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী। মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো.

আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ ও শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত মালিক, আইনবিষয়ক সম্পাদক শায়খুল ইসলাম প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প শ ইন আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান

ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। 

আজ বুধবার ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’

ফিলিস্তিন সংকট সমাধান: সবার দৃষ্টি জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুর্নব্যক্ত করে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। 

গাজা পুনর্গঠনে আরব পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তত রয়েছে। তিনি গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বাধা দেয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা সর্বাত্বকভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর হতে গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি আক্রমণের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ এবং একটি স্থায়ী সমাধানের পথ সুগম করতে জাতিসংঘের সদস্যদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার জন্য ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘জাতিসংঘ হাইলেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চেন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু-স্টেট সল্যুশন’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশসহ ১১৮টি দেশের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
  • বাঘ রক্ষায় সুন্দরবনের চারপাশে হবে সুরক্ষাবলয়: পরিবেশ উপদেষ্টা
  • জনগণকে নিয়ে সংস্কার করতে হলে নির্বাচন দিতে হবে: জোনায়েদ সাকি