পটিয়ায় জায়গা নিয়ে বিরোধ, লোহার রডের আঘাতে প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি
Published: 30th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের পটিয়ায় জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে এক পক্ষের হামলায় নুরুল হক (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পটিয়া পৌরসভার মাঝেরঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল হক ওই এলাকার মৃত নুরুল আবছারের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নুরুল হকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা ও সড়কসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল প্রতিবেশী চাচাতো ভাই ফজলুল হক ও সিরাজুল হকের পরিবারের সঙ্গে। আজ দুপুর ১২টার দিকে নুরুল হক ওই বিষয়ে প্রতিপক্ষের কাছে জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন নুরুল হকের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরিবারের লোকজন তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাদিয়া সুলতানা বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসা ব্যক্তির কপালে গভীর রক্তাক্ত জখম ছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিহত ব্যক্তির মেয়ে হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘প্রতিপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জায়গা জোর করে দখলে রেখেছে। আজ জুমার নামাজে যাওয়ার সময় আমার বাবা বিষয়টি জানতে চাইলে তাঁকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। খবর পেয়ে আমি ও আমার দুই ভাই কামাল উদ্দিন (৩৪) ও জামাল উদ্দিন (৩৮), দাদি জুলেখা বেগমসহ আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে গেলে আমাদেরও মারধর করা হয়।’
পটিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, জায়গাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে নুরুল হককে লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
শফিক উল্লাহ আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আড্ডায় তর্ক, বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
আড্ডায় তর্কের জেরে এক বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আরেক বন্ধু নিহত হয়েছে। নিহত যুবকের নাম জীবন হোসেন (২৪)। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ায় প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটে।
জীবন শহরের মোল্লাপাড়ার রজব আলীর ছেলে। তিনি একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ব্যাপারী পাড়া এলাকায় একটি বাসার গলিতে বসে চার বন্ধু আড্ডা দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন জীবন হোসেনকে ফোন করে ডেকে আনে। তখন তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে একটি দোকানের সামনে যায় তারা। সেখানে তিন বন্ধু জীবনকে পিছমোড়া করে ধরে আরেক বন্ধু ছুরিকাঘাত করে তাকে। স্থানীয়রা জীবনকে রক্ষা করতে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে জীবনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ছোয়া ইসরাইল বলেন, হাসপাতালে আমরা জীবন নামের ছেলেটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার শরীরে একাধিক স্থানে ছুরির আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অর্গান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
শিল্পি নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কয়েকজন ছেলে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি হয়। জীবন একজনকে ফোন দিয়ে তাকে বাঁচাতে অনুরোধ করেন। এসময় তিন-চারজন মিলে জীবনকে ছুরিকাঘাত করে।
নিহতের বড় ভাই রাসেল বলেন, মাঝে মধ্যে ব্যাপারী পাড়ায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত জীবন। হয়তো তাদের মধ্যে কোন বিরোধের জেরেই আমার ভাইকে ওরা হত্যা করেছে। তবে ভাই হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্ধুদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি।