কুষ্টিয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০
Published: 31st, May 2025 GMT
কুষ্টিয়ার খোকসায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস উল্টে জলাশয়ে পড়ে অন্তত ৩০ জন বাসের যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাইকপাড়া মির্জাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে একটি বাস রাজবাড়ী যাওয়ার পথে খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া মির্জাপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এসময় যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে জলাশয়ে পড়ে অন্তত ৩০জন বাসের যাত্রী আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে খোকসা থানার (ওসি) শেখ মইনুল ইসলাম জানান, ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জলাশয়ে পড়ে অন্তত ৩০ জন বাসের যাত্রী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ২৬ জনকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।