শহিদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীতে দ্বিতীয় দিনের মত সিদ্ধিরগঞ্জে দোয়া ও খাবার বিতরণ
Published: 31st, May 2025 GMT
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দ্বিতীয় দিনের মত সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মিলাদ মাহফিল আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণের কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
৪ নং ওয়ার্ডের শিমরাইল, ওয়াপদা কলোনি, আটি গ্রাম, ৬ নং ওয়ার্ডের আদমজী নতুন বাজার, এসও রোড , গোদনাইল পদ্মা ওয়েল ডিপো সংলগ্ন ট্যাঙ্কলরি টার্মিনাল এবং ৩ নং ওয়ার্ডের নয়াআটি বটতলা এলাকায় এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বক্তব্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন। তারপর নিজে নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেন। কিন্তু স্বাধীনতার সেই সুফল মানুষের কাছে পৌঁছেনি।
স্বাধীনতার পর পর যিনি ক্ষমতায় বসে ছিলেন তার সময়ে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে, গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে, মানুষের অধিকার ও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ৭৫ এর পদ পরিবর্তন এর পর দেশ ও জাতি যখন আবারও গভীর অস্তিত্ব সংকটে পড়ে তখনো আবার শহীদ জিয়া এগিয়ে আসেন।
তিনি দেশ পরিচালনা দায়িত্ব নিয়ে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। শহীদ জিয়ার আদর্শে তার হাতে গড়া দল বিএনপিও শহীদ জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে গত ৪৪ বছর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়ার গড়া দল বিএনপি দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে মানুষের কল্যাণে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং দেশ যখন ফ্যাসিবাদ কিংবা স্বৈরতন্ত্রের কবলে পড়ে তখন সেখান থেকে মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই করে। শহীদ জিয়া বিএনপি গঠন করেছেন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
তিনি বলেন বিএনপি সকল মত ও পথের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রাথমিক ফলাফল এসেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। আমরা বিশ্বাস করি সেই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে একই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। এটাই হবে আমাদের জনগণের চূড়ান্ত বিজয়। শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আমরা সেই প্রত্যাশাই করি।
এই সকল অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, মহানগর ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি রাকিবুল রহমান সাগর, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন স ব ধ নত ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাথে মিজান খন্দকারের মতবিনিময়
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ মতবিনিময় সভা করেছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিজান খন্দকার। সভায় নারায়ণগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন, নাগরিক সমস্যা এবং সমাজের দর্পণ হিসেবে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সভায় মিজান খন্দকার নব-নির্বাচিত কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
মতবিনিময়কালে মিজান খন্দকার বলেন, “গণমাধ্যমকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে এবং জনগণের সমস্যা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। আমি নিজেও গণমাধ্যমের একজন কর্মী হিসেবে দীর্ঘকাল কাজ করেছি।
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি) থেকে শুরু করে আমেরিকার টাইম টেলিভিশনে কাজ করার সুবাদে আমি দেখেছি একটি শহরকে উন্নত করতে গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা কতটা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জের যানজট, পরিবেশ দূষণ এবং সামাজিক অবক্ষয় রোধে গণমাধ্যমকর্মীরাই পারেন প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে কর্তৃপক্ষ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে। আমি আপনাদের এই পথচলায় একজন সহযোগী হিসেবে পাশে থাকতে চাই।” এবং আগামীতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবকে আমি আমার পাশে চাই।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ বলেন, “মিজান খন্দকারকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সবসময়ই একটি নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম। আমরা শহরের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আমরা আশা করি, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে সবাই একযোগে কাজ করবে এবং আমরা সাংবাদিক হিসেবে সেই চিত্রই তুলে ধরব।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, যুগ্ম সম্পাদক আহসান সাদিক শাওন, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান জুয়েল, কার্যকরী পরিষদ সদস্য প্রণব কৃষ্ণ রায় এবং ক্লাব সদস্য এম আর কামাল, দিলীপ কুমার মন্ডল ও সাইফুল ইসলাম সায়েম প্রমুখ।
সভার শেষে ব্যক্তিগত আলোচনায় মিজান খন্দকার তার রাজনৈতিক ভাবনার কথা তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, তিনি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী।