বাজেটে ‘অত্যাচারের কর’ চালু করুন: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
Published: 31st, May 2025 GMT
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সম্মানীয় ফেলো (সিপিডি) ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, “অত্যাচারের কর বা দুর্নীতির কর নামে এসব টাকা রাজস্ব আহরণ হিসেবে আনতে পারলে নৈতিক অর্থনীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা সম্ভব হতো। আগামী বাজেটে এটি না হলেও ভবিষ্যতে আমাদের এটি করতে হবে।”
শনিবার (৩১ মে) বিএফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ' বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বৈদেশিক খাতে কিছুটা কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে উল্লেখ করে ড.
আরো পড়ুন:
বাজেটে সুদ মেটাতে ধরা হয়েছে ১ লাখ সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা
বাজেট ঘোষণা ২ জুন
বাজেটে টেকসই প্রবৃদ্ধির বার্তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
আগামী অর্থবছরের জন্য একটি গতানুগতিক বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাজেট যেমন হওয়া দরকার ছিল, তা হচ্ছে না। দেশের ৮৫% সম্পদ ১০% লোকের হাতে চলে গেছে, কিন্তু বরাবরের মতো এবারও পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরশীল বাজেট হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আগের সরকারের নেওয়া ৪০ শতাংশ প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ই ছিল ভুয়া। বর্তমান সরকার বলেছিল যে, সেগুলো এ, বি, সি, ডি ক্যাটাগরি করে সেগুলোর অর্থায়ন নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু প্রকল্পগুলোতে এখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এতে সন্দেহ হয় যে, এই সরকারের গরীব ও বৈষম্যবিরোধী চরিত্রটা আরো বাড়লো কি-না।”
সরকারের ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা না গেলে করদাতারা কর দিতে উৎসাহিত হন না উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘাটতি অর্থায়ন মেটাতে পুরোটাই ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে। তারা বিদেশি অর্থায়ন ব্যয় করতে পারছে না। এমনিতেই ব্যাংকগুলো অনেক দুর্বল। এই সময়ে ব্যাংক থেকে সরকার এতো বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে।”
এছাড়া দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেছেন, “আমাদের দ্রুত একটি কায়া সংসদ দরকার। সরকার অন্য অনেক বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকার কোনো আলোচনা করেনি।”
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট প্রণয়ন করা হলে বাজেটে সরকারের গৃহীত উদ্যোগগুলোর ধারাবাহিকতা পেতো এবং ব্যবসায়ীদেরও আস্থা বাড়তো বলে মনে করেন তিনি।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, “অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ও ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের জন্য সরকারি নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচন প্রয়োজন। বিনিয়োগ সম্মেলনের সময় বিনিয়োগকারীরা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন যে, এই সরকার যেসব সংস্কার করছে, রাজনৈতিক সরকার এসে সেগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে কি-না।”
তিনি বলেন, “আমার খুবই আশা ছিল, আগামী বাজেটে আয়ের একটি নতুন খাত উন্মোচিত করবে সরকার। সেটি হলো, যারা অবৈধভাবে আয় করেছে, কর খেলাপি, ঋণ খেলাপি ও বিদেশে পাচারকারীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ এবং তাদের জব্দ করা সম্পদ বিক্রি করে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করে বাজেটে আয়ের একটি নতুন খাত হিসেবে দেখানো হবে।এটি কীভাবে দেখানো যাবে, সে বিষয়ে আমাদের ২০ বছর আগের অভিজ্ঞতা রয়েছে।”
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক সরক র র ন সরক র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর এই বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
টানা ৩০ ঘণ্টা অনশনে তিন জবি শিক্ষার্থী অসুস্থ
‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন ও কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন পরবর্তী ১১ দিনের মধ্যে তফসিল প্রস্তুত ও ঘোষণা করবে। এছাড়া কমিশন ধাপে ধাপে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এর মধ্যে থাকবে— জকসু নির্বাচন নীতিমালা ও আচরণবিধি প্রণয়ন; ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময়; ভোটার তালিকা প্রণয়ন, খসড়া প্রকাশ ও সংশোধন; চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ; মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি; প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও প্রচারণা কার্যক্রম।
সবশেষে ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ, একই দিনে অফিসিয়াল ফলাফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন, দাবি-দাওয়া ও শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে অবশেষে প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলো প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংবিধি ও বিধি অনুযায়ী রোডম্যাপের প্রতিটি ধাপ বাস্তবায়িত হবে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী