ভেন্যু মিউনিখ, প্রতিপক্ষ মিলানের ক্লাব—তাহলে পিএসজিরই তো জেতার কথা
Published: 31st, May 2025 GMT
স্বপ্নের বীজ রোপিত হয়েছিল সেই ২০১১ সালে। সে বছর কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেয় পিএসজিকে। শুরু হয় মোটা অঙ্কের অর্থলগ্নি, ক্লাবটি কিনতে থাকে নামীদামি সব খেলোয়াড়। মূল লক্ষ্য ছিল একটাই—চাই ইউরোপ–সেরার মুকুট।
কিন্তু কোথায় কী, ফ্রান্সের রাজারা ইউরোপে পাত্তাই পাচ্ছিল না। ২০২০ সালে ফাইনাল খেললেও ফিরতে হয় বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারের হতাশা নিয়ে। লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের ত্রয়ী গড়েও পূরণ হয়নি স্বপ্ন।
অবশেষে এবার আবার স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে পিএসজি। কাতারি ধনকুবেরদের ক্লাবটি আজ খেলতে নামছে আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। রক্ষণের জন্য বিখ্যাত ইতালিয়ান ক্লাবটির দুর্ভেদ্য দেয়াল ভেদ করে কি স্বপ্নের সোনালি ট্রফির ছোঁয়া পাবে পিএসজি?
এবার পিএসজির অনুপ্রেরণা হতে পারে তিনটি বিষয়—ম্যাচের ভেন্যু মিউনিখ, প্রতিপক্ষ ইতালির ক্লাব আর তাদের কোচের নাম লুইস এনরিকে। ১৯৯৩ সালে ফ্রান্সের ক্লাব মার্শেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালির মিলান শহরেরই আরেক ক্লাব এসি মিলানকে হারিয়ে। আর ম্যাচটি হয়েছিল মিউনিখের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন৯ বছর বয়সে মারা যাওয়া মেয়ের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে চান এনরিকে ৬ ঘণ্টা আগেপিএসজির কোচ লুইস এনরিকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগেএল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।
শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।
আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে