‘আজকাল টিভি খুললেই চারদিকে শুধু চঞ্চল চৌধুরীকে দেখা যায়। সব জায়গায় এই লোকটা কমন,’ খোদ চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত চরিত্রটিই বলে এই কথা। জয়া আহসানের চরিত্রের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘ওর কোনো গলা আছে? ও ডায়ালগ ডেলিভারি দিতে পারে?’ আর অপি করিমের চরিত্রটিকে বলতে শোনা যায়, ‘কয়েক বছর অভিনয় করে নাই দেখে মানুষ কি চেহারা ভুলে গেল নাকি?’ সব মিলিয়ে ঈদের সিনেমা ‘উৎসব’-এর টিজারে আমেজটা বেশ ভালোভাবেই পাওয়া গেল। গত ২৯ মে সন্ধ্যায় প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির টিজার। ছবিটির পরিচালক তানিম নূর বলেন, ‘ঈদে আমরা সবাই মিলে যেন আনন্দ করতে পারি, সে জন্যই সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। আর ঈদের আনন্দ তো শুধু নিজের জন্য নয়, এই আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়—আমাদের সিনেমাতে তেমন বার্তাই রয়েছে।’

ঈদের সিনেমা মানেই এখন যেন ধুন্ধুমার অ্যাকশন অথবা থ্রিলার। গত কয়েক বছরে ঈদে বাজিমাত করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে এমনটাই মনে হতে পারে। সেসব থেকে বেরিয়ে উৎসব হয়ে উঠতে পারে সম্পূর্ণ পারিবারিক বা সামাজিক সিনেমা। সিনেমার ট্যাগ লাইনেও ব্যবহার করা হয়েছে, ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ—পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ।’

উৎসবের টিজার থেকে। চরকির সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে অবৈধ মেলা বসাতে মরিয়া বিএনপি নেতারা  

সোনারগাঁয়ের বারদীতে হিন্দু সম্প্রাদায়ের আধ্যাত্মিক সাধক শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৫তম তীরোধান উৎসবকে কেন্দ্র করে অবৈধ মেলা বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় বিএনপির।

এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার অবৈধ মেলা অপসারণ ও লোকনাথ ভক্ত ও জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য এলাকাবাসী গণ স্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে স্বারকলিপি দিয়েছেন।

আগামী ৩রা জুন লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরোধান উৎসব পালিত হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকনাথ ভক্তরা বারদীতে আসতে শুরু করেছেন।  

রকলিপিতে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রাদায়ের আধ্যাত্মিক সাধক শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরোধান উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত। মাঠ দখল, সরকারী রাস্তাঘাট দখল নিয়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটিসহ সামাজিক বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করছেন।

যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংঙ্কায় সাধারণ মানুষ আতংঙ্কিত হয়ে পেড়েছেন। বিগত বছর গুলোতে তীরেধান উৎসবে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ এড়াতে মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। 

বর্তমানে একটি দলের উশৃঙ্খল নেতাকর্মী বিভক্ত হয়ে মেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিতে চেষ্টা করছে। এতে করে ওই এলাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। মেলায় লোকনাথ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের কথা বিবেচনা করে অবৈধভাবে দখল মাঠ উচ্ছেদ করে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমীর হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আলী ও আব্দুল হালিম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল করিম, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার বারদী খেলার মাঠ ও আশপাশের জায়গা  দখল করে অবৈধভাবে মেলা বসানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, তীরোধান উৎসবে মেলা বন্ধ করে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূর্জা, অর্চনাসহ তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচলনা নির্বিঘ্নে করতে হবে। 

বারদী ইউনিয়নের রিবর গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র সরকার বলেন, লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরেধান উৎসব নির্বিঘ্নে করতে হবে। মেলা হলে যানজট ও কোলাহল তৈরি হয়। ফলে পূর্জা, অর্চনা, রাজভোগ, বাল্যভোগসহ ধর্মীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তাই মেলা না বসলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভালোভাবে ধর্মীয় কার্যক্রম শেষ করতে পারবেন।

বারদী ইউনিয়নের নাগপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, প্রতিবছর লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরোধান উৎসবে দেশ বিদেশ থেকে বারদীতে লাখো মানুষের সমগম ঘটে। বারদীতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব রয়েছে। হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব পালন করার জন্য অবশ্যই মেলা বন্ধ রাখতে হবে। মেলা হলে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির আশংঙ্কা থাকে। 

বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, প্রশাসনের মৌখিক অনুমিতে মেলা বসছে। মেলার বিষয়ে কারো অভিযোগ নেই। প্রশাসন ম্যানেজ হয়েই মেলা বসানোর সুযোগ দিয়েছেন। 

সোনারগাঁ থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের মৌখিকভাবে মেলা বসানোর জন্য অনুমতি দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। আমরা আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় সকল প্রকার ব্যবস্থা নিবো। 

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমানের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। ক্ষুদে বার্তা দিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন,লোকনাথ ভক্তদের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তবে মেলা বসানোর কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, সোনারগাঁয়ের বিষয়গুলো ইউএনও দেখবেন। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে মেলার অনুমতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। কেউ মেলা বসালে সেটা অবৈধ হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পর্দা নামল ২ দিনব্যাপী টরোন্টো বাংলা বইমেলার
  • সোনারগাঁয়ে অবৈধ মেলা বসাতে মরিয়া বিএনপি নেতারা  
  • যাত্রাপথে দুর্ভোগ না হোক
  • ফ্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের উৎসবে সহিংসতা: নিহত ২, আটক ৫০০’র বেশি
  • নাইজেরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ অ্যাথলেট নিহত
  • পবিত্র ঈদুল আজহার দিন চারটি কর্তব্য
  • বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে কোটালীপাড়ায় উৎসবের আমেজ
  • অপু আসেননি, নকুলে মাতল সিডনি
  • হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ, বৃষ্টিতে ডিম সংগ্রহের উৎসব