দুই জেলায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে তিনজন এবং শেরপুরে দু’জনের প্রাণহানি হয়েছে। শনিবার এসব ঘটনা ঘটে। নিজেস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর–

জানা গেছে, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ লামকাইন গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ মিয়া ব্রহ্মপুত্র নদের চরে গরু চড়াতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় তাঁর দুটি গরুও বজ্রপাতে মারা গেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলম।

একই দিন নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল হক বৃষ্টিতে ভিজে বাইরে খেলা করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা গেছে। 

নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেলুর রহমান জানান, দুপুরে হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এ সময় বৃষ্টিতে ভিজে বাইরে খেলতে গিয়ে শিশু সাইদুল হক বজ্রপাতের শিকার হয়।

এ ছাড়া ফুলবাড়িয়ায় বজ্রপাতে শফিকুল ইসলাম নামে এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। কালাদহ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, রাজমিস্ত্রি শফিকুল সন্ধ্যার আগে কাজ শেষ করে ফেরার পথে বাড়ির পাশে আমগাছের নিচে আশ্রয় নিলে বজ্রপাতের শিকার হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রোকনুজ্জামান।

একই দিনে শেরপুরের নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পশ্চিম বড় পাগলা গ্রামে বজ্রপাতের শব্দে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষক সমির উদ্দিন সমু নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

তাঁর পরিবার জানায়, ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে দুপুরে মাঠে গরু আনতে যান সমির। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার কাঁকরকান্দি ইউনিয়নের মানিককুড়া গ্রামে শনিবার দুপুরে বজ্রপাতে হাজেরা খাতুন নামে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি একই গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী। 

জানা গেছে, স্থানীয় হাজিমোড় এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তাঁর নাতনি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে নাতনিকে আনতে মাদ্রাসায় যান তিনি। ফেরার পথে তাঁর ওপর বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হন। তবে সঙ্গে থাকা নাতনির কিছু হয়নি। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, পথেই মারা গেছেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ ন হত উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারী বর্ষণে বিকল্প সড়ক ধসে ময়মনসিংহের ৩ উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে ময়মনসিংহের তারাকান্দা-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের চংনাপাড়া ও রায়জান বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত বিকল্প ডাইভারশন সড়কটি সম্পূর্ণ ধসে গেছে। এর ফলে তারাকান্দা, পূর্বধলা ও গৌরীপুর উপজেলার হাজারো মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, যা ঈদযাত্রার আগ মুহূর্তে চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, তারাকান্দার কামারগাও ইউনিয়নের চংনাপাড়া বাজারের কাছে একটি নতুন সেতু নির্মাণাধীন রয়েছে। মূল সেতুর কাজ চলায় যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে একটি অস্থায়ী ডাইভারশন সড়ক তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রবল বর্ষণে সেই ডাইভারশনটি সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় বহেড়াকান্দি গালাগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা আতিকুল ইসলাম জানান, এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন পূর্বধলা, গৌরীপুরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে। সড়কটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় জরুরিভিত্তিতে সংস্কার না হলে সাধারণ মানুষের চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়বে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, হাজীগঞ্জ, আশ্বিয়া, অনন্তপুর, ভেরুয়া, হরিয়াতলা, হারিভাঙ্গা, রাজধারিকেল, কামারগাঁও, ওয়াই ও গোবিন্দখিলা এলাকার মানুষজন এই সড়কের ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য এই দুর্ভোগ আরও প্রকট হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটে। নির্মাণ কাজের ধীরগতি এবং অস্থায়ী ডাইভারশন ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে নিয়মিত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা দ্রুত সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার পাশাপাশি অবিলম্বে বিকল্প সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন সমকালকে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তাটি পরিদর্শন করে এসেছি। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের ভেতরে রাস্তাটি মেরামত করতে বলা হয়েছে। আগামীকাল থেকে যাতে ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তবে তারাকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, ভাঙ্গা রাস্তাটি ফেসবুকে দেখেছি। এটি খুব বাজেভাবে ভাঙ্গায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। সম্ভবত রাস্তাটি বিসকা ইউনিয়নে পড়েছে। রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারি। রাস্তাটি এলজিইডির হলে ইউএনওর সাথে কথা বলে মেরামতের ব্যবস্থা করব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড় ধসের শঙ্কা 
  • ঘুমের মধ্যেই শেষ রিয়াজ রহিমার গোটা পরিবার
  • বৃষ্টি ভোগাচ্ছে ঈদযাত্রায়, এসি বাসে ভাড়া গরম
  • চার নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, বাড়ছে তিস্তার পানিও
  • ঢাকায় অপহৃত মোটরসাইকেলচালক যেভাবে ময়মনসিংহে উদ্ধার হলেন
  • ঢাকাসহ সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
  • দুপুরের মধ্যে দেশের ১১ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
  • ভারী বর্ষণে বিকল্প সড়ক ধসে ময়মনসিংহের ৩ উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
  • জুলাই আন্দোলনে জীবিত ভাইকে নিহত দেখিয়ে মামলা, নেপথ্যে কী?