ঈদযাত্রায় ট্রেনযাত্রীদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
Published: 1st, June 2025 GMT
ঈদুল আজহায় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।
রবিবার (১ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, আরএনবি কন্ট্রোল রুম, র্যাব কন্ট্রোল রুমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
সিলেটগামী জয়ন্তী এক্সপ্রেসের যাত্রী মাহবুবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবারের ঈদযাত্রা বিগত বছরগুলোর থেকে অনেক স্বস্তিদায়ক। নিরাপত্তার কথা যদি বলি, তাহলে আমরা সন্তুষ্ট। চার স্তরের টিকিট চেকিং এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি আছে। তারা যাত্রীদের প্রতি অনেক হেল্পফুল।”
আরো পড়ুন:
নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের তৎপর থাকার নির্দেশ রেল কর্তৃপক্ষের
ময়মনসিংহে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সব হারিয়ে নির্বাক ব্যবসায়ীরা
চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী কমিউটার ট্রেনের যাত্রী মিমি আক্তার রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের ছুটি তাড়াতাড়ি হয়েছে, তাই বাড়িতে একটু আগেভাগেই যাচ্ছি। আশা করছি এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য দেখলাম অনেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত আছে।”
ট্রেনের নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকার স্টেশন ম্যানেজার মো.
ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) জয়নুল আবেদীন রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমরা আসন্ন ঈদুল আজহাকে আনন্দ মুখর ও উৎসবমুখর করতে নিচ্ছিন্ন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। আমরা আশা করি, যাত্রীরা নির্বিঘ্নে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবে। আমরা আজ সকাল ৮টা থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করব।
ঢাকা/রায়হান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল স ট শন ত র জন য ঈদয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বাম দলগুলোর প্রতিক্রিয়া: ‘তফসিল হয়েছে, তবে সামনে বড় চ্যালেঞ্জ’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশের বাম দলগুলো।
তারা দাবি করছেন, তারিখ ঘোষণার পরও মাঠে এখনো কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি,বরং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জনমনে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাই ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করতে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বিত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা এখন জরুরি।
আরো পড়ুন:
অসত্য তথ্য ছড়ানোও শাস্তিযোগ্য অপরাধ: সিইসি
তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “১৭ বছর পর অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে পারে এই তফসিল। জনগণও নিজেদের দল ও প্রতীকে ভোট দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ১২ ফেব্রুয়ারি সেই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি মনে করেন, “একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট-বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে নতুন অভিযাত্রার ইঙ্গিত হলেও সামনে বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে।”
“একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন, তা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের আস্থা ফেরানো জরুরি। ভোটে টাকার খেলা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে”, বলেন সাইফুল হক।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স তফসিল ঘোষণায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এখন থেকে প্রতিটি মুহূর্তে ইসি ও সরকারকে এমন সব পদক্ষেপ নিতে হবে, যা দেখলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবে, এবার সত্যিকার অর্থে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।”
তিনি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “প্রার্থী হওয়া ও ভোট দেওয়ার সমান সুযোগ সবার জন্য নিশ্চিত করতে ইসিকে আরো সক্রিয় হতে হবে। প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদকে পুনর্গঠন করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতার বার্তা আরো দৃশ্যমান করতে হবে।”
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, “বহুল প্রত্যাশিত তফসিল ঘোষণায় স্বস্তি এসেছে, তবে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ এখনো মসৃণ নয়।”
“নির্বাচনকে টাকার প্রভাব, পেশিশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা, আঞ্চলিকতা এবং প্রশাসনিক কারসাজিমুক্ত করতে হবে। সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে”, যোগ করেন তিনি।
সরকার, ইসি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা এবং জরুরি উদ্যোগ ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন বজলুর রশীদ ফিরোজ।
ঢাকা/এএএম/রাসেল